প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প হল এই চিতা প্রকল্প। কুনোতে আনা হয়েছিল চিতা। কেমন আছে সেই চিতারা? চিতা নিয়ে নতুন কোনও আপডেট?
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মধ্য়প্রদেশের নিমাচের চিফ ফরেস্ট অফিসার শুভরঞ্জন সেন জানিয়েছেন, যখন চিতা আনার কথা হয়েছিল, আমাদের এখানে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, দেখা যাচ্ছিল না, তখন কুনোর কথা ভাবা হয়েছিল। সব থেকে উপযুক্ত ছিল এটা কুনো। এরপর রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ ও গুজরাটে চিতা ছাড়ার কথা ভাবা হয়েছিল। মধ্য়প্রদেশের কুনোর পরে গান্ধী সাগর ছিল উপযুক্ত জায়গা। সেখানে ছাড়া হয়েছে। এরপর দেখা গিয়েছে নাওরাদেহি( Nauradehi) এলাকায় চিতা ছাড়ার উপযুক্ত জায়গা। আগামী দিনে সেখানে চিতা ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও চিতা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে নামিবিয়া সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও বিরাট বিরাট এলাকা রয়েছে চিতার জন্য। বিরাট ফেন্সিং দিয়ে রাখা হয়। প্রথমে ফেন্সিংয়ের ভেতর রাখা হয় এখানে। এরপর বেড়ার বাইরে ছাড়ার ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, চিতা নানা ধরনের জঙ্গলে থাকতে পারে। আবার জঙ্গল ছাড়াও চিতা থাকতে পারে। খুব ঘন জঙ্গলে কম থাকে। মনে হয় যেন পুরো খোলা জায়গায় থাকে। এমনটা নয়। কিছু জায়গায় আফ্রিকায় জঙ্গলেও থাকে। আসলে খোলা জায়গায় ছবি তোলা হয়। আর সেটা দেখে অনেকে ভাবেন হয়তো খোলা জায়গাতেই একমাত্র চিতা থাকে। তেমনটা নয়। তবে চিতার যা যা দরকার সেটা যদি থাকে তাহলে চিতা থাকতেই পারে। চিতার যা যা দরকার সেটা যদি থাকে তাহলে থাকতেই পারে। একটা স্টাডি করা হয়েছে কোথায় কোথায় চিতা এখানে থাকতে পারে। সেই অনুসারে চিতা ছাড়া হয়। কেমন ভূ প্রাকৃতিক এলাকায় থাকতে পারে সেটা দেখে নেওয়া হয়। তবে সেখানকার সঙ্গে আবহাওয়াগত কিছু ফারাক শুধু রয়েছে। এটা মানাতে কিছু সমস্যা লাগতে পারে। ১৬ চিতা বাইরে রয়েছে। গ্রামের দিকে যাচ্ছে না। ভালো আছে চিতা এখানে।
সুদূর নামিবিয়া থেকে চিতা আনা হয়েছিল ভারতে। এরপর সেই চিতার একাংশ মারাও গিয়েছিল। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তবে ধীরে ধীরে ভারতের আবহাওয়ার, ও ভূ প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করে চিতার দল। এবার নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার।