
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
‘মৃত্যুর পরও যদি বিচার না পাই, ড্রেনে অস্থি ফেলে দিও।' এমনটাই জানিয়ে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক ইঞ্জিনিয়ার। আত্মহত্যার আগে একটি ভিডিওবার্তা রেকর্ড করেও রেখে গেছেন তিনি। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায়। যা বেঙ্গালুরুর অতুল সুভাষকাণ্ডের কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-Mumbai: মুম্বইয়ের রাস্তায় তরবারি হামলা! বাস চালকের উপর আক্রমণ কিশোরের, চলল ভাঙচুর
জানা গেছে, ৩৩ বছর বয়সি মোহিত যাদব পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ইটাওয়ার পুলিশ সুপার অভয়নাথ ত্রিপাঠী জানান, বৃহস্পতিবার ইটাওয়া রেলস্টেশনের কাছে জলি হোটেলে উঠেছিলেন মোহিত। পর দিন সকালেও ঘর থেকে বেরোননি। বিকেলে হোটেলের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হোটেলের কর্মীরাই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তিনি আরও জানান, মোহিত ঔরাইয়া জেলার বাসিন্দা। একটি সিমেন্ট সংস্থায় ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রিয়া নামের এক তরুণীর সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর।অবশেষে ২০২৩ সালে মোহিত এবং প্রিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মৃত্যুর আগে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে মোহিত দাবি করেন, দু'মাস আগে প্রিয়া অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বিহারে শিক্ষকতার চাকরি নেন। কিন্তু প্রিয়ার মা তাঁকে গর্ভপাতে বাধ্য় করেন বলে অভিযোগ তোলেন মোহিত। তিনি আরও দাবি করেন, প্রিয়াকে গর্ভপাতেই শুধু বাধ্য করেননি শাশুড়ি, সমস্ত গয়নাও নিজের কাছে রেখে দেন। বিয়ের সময় তিনি কোনও পণ চাননি। কিন্তু স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের মামলা করার হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁকে। ভিডিওতে মোহিতকে বলতে শোনা যায়, 'স্ত্রী হুমকি দিয়েছে, বাড়ি এবং সম্পত্তি ওর নামে লিখে না দিলে, পরিবারের নামে পণের মামলা দায়ের করবে। ওর বাবা মনোজ কুমার ইতিমধ্যেই একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে। ওর ভাই খুনের হুমকি দিয়েছে আমাকে।' তারপর থেকে প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে অশান্তি করছিলেন প্রিয়া। এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রিয়াকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন মোহিত।ভিডিও-র শেষে নিজের মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মোহিত। তিনি জানান, মৃত্যুর পরও যদি বিচার না পান, তাহলে তাঁর অস্থি ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয় যেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'যখন এই ভিডিও পাবে, আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছি। পুরুষদের জন্য আইন থাকলে আমাকে এমন পদক্ষেপ করতে হতো না। স্ত্রী এবং তার পরিবারের হেনস্থা আর সইতে পারছিলাম না আমি।'
অন্যদিকে মোহিতের দাদা তারীন প্রতাপ জানিয়েছেন, কোটা থেকে রওনা দিয়ে ইটাওয়ায় নেমেছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে ফোনে ভিডিওটি ঢোকার পর হতবাক হয়ে যান তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত প্রিয়া এবং তাঁর পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মহিলাদের দায়ের করা ভুয়ো মামলায় পুরুষদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুরুষদের নিরাপত্তায় যথাযথ আইন না থাকা নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন মহলের মানুষ। এর আগে, বেঙ্গালুরুর অতুল সুভাষ স্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে আত্মঘাতী হন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports