
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এই বিভীষিকার মাঝে বড় পদক্ষেপ করল মায়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি। উদ্ধারকাজের আবহে বিদ্রোহী 'পিপলস ডিফেন্স ফোর্স' জানিয়েছে ৩০ মার্চ থেকে ২ সপ্তাহের সংঘর্ষিরতি পালন করবে তারা। এদিকে জুন্তা বিরোধী বিদ্রোহী সরকার - 'ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট' ঘোষণ করেছে, তারা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য এনজিও-র সঙ্গে মিলে উদ্ধারকাজে হাত দেবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক জুন্তার অভ্যুত্থানের জেরে সেই সকল রাজনীতিবিদরা গদিচ্যুত হয়েছিলেন, তাঁরা মিলে এই জাতীয় ঐক্য সররকার গঠন করেছিলেন। বর্তমানে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অবশ্য তারা জুন্তা বিরোধিতার পথ ছেড়ে সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। (আরও পড়ুন: 'হিন্দুদের ওপর ১০টি হামলা…', জয়শংকরের তোপের জবাব পাকিস্তানের, দিল অযাচিত জ্ঞান)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি সেনা প্রধানের বলেন...', প্রতিবেশী দেশ নিয়ে বড় দাবি ভারতের
এদিকে মায়ানমারকে সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই ভারত 'অপারেশন ব্রহ্ম' চালু করার ঘোষণা করেছে। মায়ানমারের সামরিক জুন্তা প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যকে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্যে। এদিকে ভারতের তরফ থেকে বিভিন্ন অত্যাবশ্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে মায়ানমারে। জানা গিয়েছে প্রতিবেশী দেশকে প্রথম দফায় ১৫ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। এরপর আরও কয়েক দফায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে মায়ানমারে। আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রপথেও মায়ানমারে ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩৭ টন সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত। এদিকে ওপারেশন ব্রহ্মায় অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, রাস্তাঘাট ও পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মায়ানমারে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, আরও ভূমিকম্পের আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায় রাত কাটিয়েছেন। এদিকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন এই ভূমিকম্পের জেরে। ওসিএইচএ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল ফাটল ধরেছে ভূমিকম্পের জেরে। এদিকে বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এর জেরে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। ওসিএইচএ আরও বলেছে, চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ট্রমা কিট, ব্লাড ব্যাগ, অ্যানাস্থেটিক্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তাঁবুর ঘাটতি রয়েছে। এর পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবাতেও বিঘ্ন ঘটেছে। মন্দালয় এবং নেপিডোর হাসপাতালগুলো আহতদের ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports