চলতি সপ্তাহে কুয়েতে পা রাখতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে ‘গাল্ফ কো অপরেশন কাউন্সিল’এর সভাপতিত্ব রয়েছে কুয়েতের হাতে। সেই কুয়েতেই এবার পা রাখতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ৪৩ বছর পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কুয়েতে সফর করবেন মোদী। এই মুসলিম অধ্যুষিত দেশে তাঁর দুই দিনের এই সফর কূটনৈতিক আঙিনায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারতে ক্রুড ও এলপিজি সরবরাহকারী দেশ হিসাবে কুয়েতের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও সেদেশে কয়েক মিলিয়ন ভারতীয়ের বসবাস। আর সেখানেই এবার পা রাখছেন ভারতেক প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম কুয়েত যাচ্ছেন মোদী। এদিকে, এর আগে, চলতি মাসের প্রথমেই কুয়েত থেকে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ আলি আল ইয়াহা ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সেদেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। জানা যাচ্ছে, মোদীর এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থেকে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি বড় জায়গা দখল করে থাকবে। সেই প্রেক্ষাপটে মোদীর এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ। চলতি সপ্তাহে শনিবার ২১ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েত সফর রয়েছে মোদীর।
এর আগে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে কুয়েতের যুবরাজ শেখ শেখ সাবাহ খআলেদ আল হামাদ আল সাবাহর সঙ্গে দেখে করেছিলেন মোদী। সেই সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হওয়া নিয়ে মোদী তাঁর স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে, সদ্য, কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী ভারতে আসতেই, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মোদী। ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি তার অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে। তবে কুয়েতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সামনাসামনি বৈঠকে বসে মোদী, সেই এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতাবস্থার পক্ষে বার্তা দেন। এদিক, চলতি মাসের শুরুতেই ‘গাল্ফ কো অপরেশন কাউন্সিল’এর বৈঠকে কুয়েত সংঘর্ষ বিরতির বার্তা দেয়। সেই বৈঠকে তারা আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি ডাক দিয়ে, নিরীহদের নিরাপত্তার বিষয়ে জোরালো বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে যাতে নিরীহ নাগরিকদের ‘সেফ করিডর’ দেওয়া হয় ও মানবিক ত্রাণ দেওয়া হয়, তার আর্জি জানায় কুয়েত। ইতিমধ্যেই কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের মধ্যে ‘জয়েন্ট কমিশন ফর কো অপরারেশন’ তৈরি করতে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়। মৌ স্বাক্ষরের হাত ধরে নতুন যৌথ কার্যবাহী গোষ্ঠী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতির বিষয়ে কাজ করবে।