চন্দ্রযান, সূর্যযান তো ছিলই। এবার শুক্রযান। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ( ইসরো) ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন, সরকার শুক্র গ্রহের চারদিকে ঘুরবে এমন স্যাটেলাইট প্রকল্পের অনুমোদন করেছে।
ভারত সরকার সম্প্রতি শুক্রের চারদিকে ঘুরতে পারবে এমন উপগ্রহ প্রকল্প, শুক্রযানের অনুমোদন করেছে। জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ( ইসরো) ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৮ সালে এটা লঞ্চ করা হবে। এদিকে চন্দ্রযান ৩এর পরে চন্দ্রযান ৪এর একটা প্রস্তাব রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেটি কেবলমাত্র চাঁদের বুকে নামবে সেটাই নয়, চাঁদ থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে আসা হবে। আর এই চন্দ্রযান ৪ এর ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মধ্য়ে একটা যৌথ মিশন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৪ দুটি মিশনকে নিয়ে তৈরি করা হবে। ভারত ও জাপান একটা যৌথ মিশনে নামবে। এক্ষেত্রে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৯০ ডিগ্রি দক্ষিণে। গতবারে আমাদের চন্দ্রযান ৬৯.৩ ডিগ্রি দক্ষিণে নেমেছিল।
তিনি গোটা প্রকল্পটির ব্যাখা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের ব্যাপারে সরকারের অনুমোদন এখনও মেলেনি। এই মিশনে যে রোভারটা থাকবে তার ওজন থাকবে ৩৫০ কেজি। আগের রোভারের থেকে এটা প্রায় ১২ গুণ ভারী। আমরা যদি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাই তবে আমরা ২০৩০ সালে এটা করতে পারব।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ইনস্যাট ৪ সিরিজের ব্যাপারেও কথাবার্তা হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসাবে নতুন সেন্সর ও স্যাটেলাইটের ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন বিশ্ব আমাদের থেকে এক জেনারেশন এগিয়ে রয়েছে। আমরা এই নতুন সেন্সরগুলি আনতে চাইছি। নতুন মেটেরলজিকাল ও ওসানোগ্রাফিক সেন্সরগুলি আমরা আনতে চাইছি।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গল মিশনের অংশ হিসাবে আমরা কেবলমাত্র মঙ্গলের কক্ষপথের চারদিকে আমরা স্যাটেলাইট পাঠাবো সেটাই নয়, আমরা মঙ্গলের বুকে যানও নামাব। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে গগনযানও আসছে।
প্রথম দিকে মানুষ বিহীন ফ্লাইট পাঠানো হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে মানুষ সহ ফ্লাইট পাঠানো হবে। ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রেও সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এটা আইএসএসের মতো হবে। তবে পাঁচটি মডিউলে এটা বিভক্ত থাকবে। ২০২৮ সালে আমাদের প্রথম মডিউলটি ছাড়া হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের স্পেস স্টেশনটা রেডি করা সম্ভব হবে।