টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএসে ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইকে উদ্বেগজনক বলে দাবি করলেন কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাড। সম্প্রতি টিসিএসে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। এর জেরে চলতি আর্থিক বছরে কাজ হারাবেন ১২ হাজার কর্মী। ইতিমধ্যেই সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কে কৃত্তিবাসন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনও সুনির্দিষ্ট দফতর বা এলাকাকে যে নিশানা করা হচ্ছে না।
এই আবহে কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী বলেন, 'এটা কিছু কারণ হতে পারে, হঠাৎ করে ১২,০০০ কর্মী, তাও টিসিএস, বিশাল সংখ্যা... এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়; আমাদের লোকেরা তাদের সঙ্গে কথা বলছে... আমি এর কারণও জানতে পারব... শ্রম আইন খতিয়ে দেখব... সানরাইজিং কোম্পানিগুলিকে সর্বদাই নমনীয়তা দেওয়া হয়েছে।' টিসিএস সূত্রে খবর, মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরের কর্মীরাও ছাঁটাইয়ের আওতার মধ্যে থাকবেন। বিশ্বব্যাপী মোট কর্মী সংখ্যার দু’শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়াটা শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-'শীঘ্রই ভারত তৃতীয় বৃহত্তম..!' ট্রাম্পের ‘মৃত অর্থনীতি’ মন্তব্যে সপাটে জবাব গোয়েলের
এক সাক্ষাৎকারে টিসিএসের সিইও কে কৃত্তিবাসন এই পদক্ষেপের নেপথ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কারণ থাকার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দক্ষতার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হওয়া অমিল এবং কোম্পানির নতুন ব্যবসায়িক মডেলের উপর লক্ষ্য রেখে কিছু নির্দিষ্ট কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সমস্ত কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়েছে যাদের পুনরায় নিয়োগ করার ক্ষেত্রে অক্ষমতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।সংস্থাটির সিইও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, 'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ২০ শতাংশের মতো উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কারণে এই ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র সেই সমস্ত অংশেই কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে যেখানে দক্ষতার অমিল রয়েছে বা যেখানে আমরা মনে করি সেইভাবে কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি।'
আরও পড়ুন-'শীঘ্রই ভারত তৃতীয় বৃহত্তম..!' ট্রাম্পের ‘মৃত অর্থনীতি’ মন্তব্যে সপাটে জবাব গোয়েলের
সূত্রের খবর, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছর জুড়ে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করবে টিসিএস। কোম্পানিটির এই ছাঁটাইয়ের পর্যায়টির মধ্যে মূলত মধ্য থেকে অভিজ্ঞ স্তরের কর্মীরা প্রভাবিত হতে চলেছেন। এছাড়াও, নির্দিষ্ট সংখ্যার জুনিয়ার স্টাফেরাও এই পর্যায়ে নিজেদের কাজ হারাতে পারেন। সেই সমস্ত কর্মী যাদের বর্তমানে কোন প্রোজেক্টের দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি, তাদেরও চাকরি হারানোর শঙ্কা থাকবে।