শেষ ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে এমনই জানাল ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা (ইসরো)। সেইসঙ্গে ওই চিত্রে ভারতীয় সেনার হেলিপ্যাড, একটি মন্দির-সহ পুরো এলাকাকে 'সংবেদনশীল' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হায়দরাবাদে অবস্থিত ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে যে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে যোশীমঠ। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় পাঁচ সেমির মতো বসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের শহর। তবে যোশীমঠের মধ্যভাগে ভূমি বসে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে যে যোশীমঠ লাগাতার বসে যাচ্ছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে যোশীমঠ ন'সেমি বসে গিয়েছে। কিন্তু গত বছরের শেষের দিক থেকে নয়া বছরের শুরুতে যোশীমঠের পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে উঠেছে বলে ইসরোর উপগ্রহচিত্র উঠে এসেছে। যে উপগ্রহচিত্র ঘিরে উদ্বেগের মাত্রা আরও বেড়েছে। সেইসঙ্গে ইসরোর ছবি থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে ভূমিধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যোশীমঠ-আউলি রোড।
আরও পড়ুন: Joshimath Crisis: 'যোশীমঠ মেরামতির আর সুযোগ নেই, ফুটো হয়ে গিয়েছে...', কাদের দুষলেন পরিবেশবিদ?
সেই উপগ্রহ ছবি সামনে আসার মধ্যেই যোশীমঠের দুটি 'অসুরক্ষিত' হোটেল (হোটেল মালারি ইন এবং হোটেল মাউন্ট ভিউ) ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। আর্থিক অনুদানের দাবিতে মালিকদের বিক্ষোভের জেরে সাময়িকভাবে দুটি হোটেলের ভেঙে ফেলার কাজ স্থগিত ছিল। অসন্তোষ সত্ত্বেও দু'দিন পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের সেই কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে যোশীমঠ থেকে মানুষকে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। যে যোশীমঠ হল তীর্থস্থান বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড এবং আন্তর্জাতিক স্কি সেন্টার আউলির গেটওয়ে।
আরও পড়ুন: Joshimath review Meeting: ঘর ছাড়া বহু, ফাটল চওড়া হচ্ছে বাড়িতে! যোশীমঠের সংকট পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে অমিত শাহ
বিষয়টি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা সচিব রঞ্জিত সিনহা জানিয়েছেন, রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, 'সেন্ট্রাল বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে সব কাজ হবে। এমনভাবে হোটেলগুলি ভেঙে ফেলা হবে যে আশপাশের কাঠামোয় কোনও ক্ষতি হবে না।'