চেন্নাই থেকে আসা বিমানে আছে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গি? 'টিপ' পেয়েই শনিবার কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরেই সেই বিমানে চিরুনি তল্লাশি চালাল শ্রীলঙ্কার পুলিশ। চালানো হয় খুঁটিনাটি পরীক্ষা। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও জঙ্গির হদিশ মেলেনি বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। সরকারিভাবে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। যে উড়ান সংস্থার বিমানে সেই তল্লাশি চালানো হয়, সেই শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের তরফে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে যে চেন্নাই থেকে আগত বিমানে এক সন্দেহভাজন রয়েছে বলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
চেন্নাই এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টারের থেকে সতর্কবার্তা আসে
শ্রীলঙ্কার জাতীয় উড়ান সংস্থার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ১১ টা ৫৯ মিনিটে চেন্নাই থেকে কলম্বোয় অবতরণ করে ৪আর-এএলএস বিমান (ফ্লাইট নম্বর ইউএল ১২২)। অবতরণের পরেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ওই বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। কারণ চেন্নাই এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টারের থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল যে ভারতের 'ওয়ান্টেড' একজন ওই বিমানে থাকতে পারে।
বিমানের খুঁটিনাটি পরীক্ষা চালানো হয়
আর সেই তল্লাশি অভিযানে বিমানের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করা হয় বলে ওই উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই উড়ান সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে যে সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম মেনে চেন্নাই থেকে আগত বিমানে তল্লাশি চালানোর জন্য সিঙ্গাপুরগামী বিমান নির্ধারিত সময় ছাড়তে পারেনি।
আরও পড়ুন: 'আমি মরে যাব, তবে পাকিস্তানে যাব না', বললেন ২৭ বছর পুলিশে চাকরি করা ইফতিখার
পহেলগাঁওয়ে হামলা জঙ্গিদের রেয়াত নেই, হুংকার মোদীর
এমনিতে পহেলগাঁও হামলার পরে প্রায় দু'সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। যে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারত সরকারের অনুমান, পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার পিছনে পাঁচ জঙ্গি আছে। তাদের মধ্যে তিনজন পাকিস্তানি বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর তাদের প্রত্যেককে শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেন, শুধু পর্যটকদের উপরে নয়, ভারতের আত্মায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার পেছনে পাক গুপ্তচর সংস্থার হাত! ছক কষতে মিটিং হয়েছিল কোথায়? Report
তারইমধ্যে গত ২৯ এপ্রিল নিজের বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মোদী। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশকুমার ত্রিপাঠীরা।
আরও পড়ুন: ভারতের ভয়ে হাফ ডজনেরও বেশি লস্কর জঙ্গিকে নিরাপদস্থানে নিয়ে গেছে পাকিস্তান
সেখানেই ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা এবং ভারতীয় নৌসেনাকে পুরো স্বাধীনতা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জানিয়ে দেন যে পহেলগাঁও হামলার বদলা নিয়ে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে তিন সামরিক বাহিনী।