সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি আগেই স্থগিত করেছিল ভারত। এরই সঙ্গে ভারতে থাকা থাকা সকল পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত যেতে বলে মোদী সরকার। বাতিল করা হয়েছিল পাকিস্তানিদের ভিসা। আর আজ পরপর আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করল ভারত। ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বিগত কয়েকিন ধরে দাবি করে এসেছিলেন যে কূটনৈতিক ভাবে পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ভারত আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করবে। সেই মতোই আজ পাকিস্তানের থেকে আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরই সঙ্গে ভারতীয় বন্দরে পাক জাহাজের আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সঙ্গে ভারতীয় কোনও জাহাজও পাকিস্তানে যাবে না। আর সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে ডাক যোগাযোগ পুরোপুরি ছিন্নি করেছে ভারত। (আরও পড়ুন: আরও যেন ঘনীভূত যুদ্ধের মেঘ, ভারতকে চোখ রাঙিয়ে নয়া পদক্ষেপ পাক সেনার)
আরও পড়ুন: ভারতে সন্ত্রাসী হামলার ছক কষা পাকিস্তান পুড়ছে বালোচ বিদ্রোহের আগুনে
আরও পড়ুন: কূটনৈতিক প্রত্যাঘাতের শেষ পেরেক পাকিস্তানের কফিনে? আরও এক বড় ঘোষণা দিল্লির
আজ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সকল সার্কেলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সড়কপথে হোক আকাশপথে, পাকিস্তান থেকে আর কোনও চিঠি বা পার্সেল না ভারতে আসবে না ভারত থেকে কিছু আর পাকিস্তানে যাবে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে দিয়ে এই পদক্ষেপ ভারতের। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়বে। এমনিতে এর আগে পাকিস্তানও ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের পালটা বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল, তবে তাতে তাদেরই লোকসান হয়েছিল। এবার পাকিস্তানকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে কোমর কষে পরপর পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পকেটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ভারতের, বড় পদক্ষেপের ঘোষণা মোদী সরকারের)
আরও পড়ুন: 'ভারতকে থামাও, আমাদের বাঁচাও', গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখে কাঁদছে পাকিস্তান
উল্লেখ্য, একদিকে পাকিস্তান শান্তির আর্জি জানাচ্ছে, অপরদিকে তারা সীমান্তে বিনা প্ররোচনায় এই সব কাণ্ডকারখানা করে বেড়াচ্ছে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাক সেনার এক প্রাক্তন সদস্যের সরাসরি যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে পাকিস্তান নিজেদের মুখ বাঁচাতে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে সরব। তাদের বক্তব্য, ভারত নিজেই নাকি এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। (আরও পড়ুন: 'প্রস্তুতি' কাশ্মীরের, প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত রাজনাথের পদক্ষেপে?)
আরও পড়ুন: না খেয়ে মরবে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিরা, তবে তাদের জীবিতই ধরতে চায় ভারত
এহেন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান সরকার। এর জন্যে তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিভিন্ন দেশের আমলা-মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন। অপরদিকে সন্ত্রাসীদের বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়েছে পাকিস্তান। চিন, তুরস্কের মতো দেশের সমর্থন পেয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতও ইজরায়েল, আমেরিকা, রাশিয়া, সহ বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় তাবড় শক্তিশালী দেশের সমর্থন পেয়েছে।