দুর্ঘটনার চার দিন পর হদিশ মিলেছে ‘অভিশপ্ত’ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সের।ঘটনাস্থল থেকেই তা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ব্ল্যাক বক্সে বিমানের ককপিটের কথাবার্তা রেকর্ড করা রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। গত শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুটি ব্ল্যাক বক্স খতিয়ে দেখার পরই দুর্ঘটনার কারণ এবং ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিমানে কী কী হয়েছিল তা খুব শীঘ্রই জানা যাবে। (আরও পড়ুন: 'আমরা পরমাণু বোমা ফেলব', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে নাক গলাল 'নাক কাটা' পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছেই ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা কত?
আরও পড়ুন: খামেনিকে 'বাঁচালেন' ট্রাম্প! বিস্ফোরক দাবি ওয়াশিংটনের, পালটা ইজরায়েল বলল...
রবিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র। ওই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা ছাড়াও আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাঁর কাছেই ওই দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে।এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো এবং এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সার্কিট হাউসে হওয়া ওই উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনায় পিকে মিশ্র কেন্দ্রীয় এবং গুজরাট রাজ্য সরকার, এএআইবি এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তাঁকে ওই ফ্লাইটের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার দু’টিই পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বিমান দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেটিগেশন ব্যুরো। আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড-ও। (আরও পড়ুন: এবার আর্মেনিয়া হয়ে ইরানে 'মিশন' চালাতে পারে ভারত, সামনে এল নয়া আপডেট)
আরও পড়ুন: সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে আপত্তিকর কথায় পুড়েছিল দলের মুখ, নেতাদের সতর্ক করলেন শাহ
আরও পড়ুন-মার্কিন প্রেসিডেন্টের রক্তচক্ষুতে আরও ৩৬ দেশের নাগরিকেরা! কিন্তু কেন?
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন তাই নজর সেটির দিকেই। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই ‘ব্ল্যাক বক্স’? সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল্যাক বক্সে। (আরও পড়ুন: লখনউতে অবতরণের সময় বিমানে ধোঁয়া, উড়ানে ছিলেন ২৫০ হজযাত্রী)
আরও পড়ুন: ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানে পেট্রোল-ডিজেল রেট যেন রকেট,ভারতে হাল কেমন
আরও পড়ুন: বোমা বিস্ফোরণের আশঙ্কায় হায়দরাবাদগামী লুফথানসার বিমান ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরল
উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত সেই এআই১৭১ বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। একজন মাত্র যাত্রী বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত অমেমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭০।