পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পরে পাক নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু সীমা হায়দার কী করবেন? তিনিও তো প্রেমের টানে এসেছিলেন ভারতে। তিনি এবার কী করবেন? সীমা নিজে অবশ্য কোনওভাবেই পাকিস্তানে যেতে চান না।
তবে সবার মনে প্রশ্ন, সীমা হায়দারও কি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পিছিয়ে যাবেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবিও তুলছেন। এখন হেমন্ত পরাশর, যিনি একসময় তাঁর আইনজীবী ছিলেন, তিনিও এই মানুষদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সীমাকে পাকিস্তানে পাঠানোর দাবিও জানিয়েছে তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, সেই অনুযায়ী সীমা হায়দারকেও শীঘ্রই পাকিস্তানে পাঠাতে হবে। খবর লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে।
সীমা হায়দার ও সচিন মীনার জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন আইনজীবী হেমন্ত পরাশর। তিনি টিভি ৯কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তান আমাদের শত্রু দেশ এবং সীমা হায়দারও সেই শত্রু দেশের নাগরিক। তিনি এখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাই অবিলম্বে তাকে এখান থেকে বহিষ্কার করা হোক। তিনি আরও বলেন, সীমা হায়দার মা হলেও তাকে ফেরত পাঠাতে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, 'আগে যদি কোনও মহিলা পাকিস্তান থেকে এসে ভারতে মা হতেন, তিনি এখানকার নাগরিকত্ব পেতেন, কিন্তু এখন সেই আইন আর নেই, তাই সীমা হায়দার মোটেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন না। সীমা হায়দারের আইনজীবী এপি সিং দাবি করেছিলেন, তাঁর নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং এটিএস-এর কাছে রয়েছে, হেমন্ত পরাশর প্রশ্ন তোলেন, কী কী নথি রয়েছে? সেসব নথি জনসমক্ষে আনুন। কোনও নথি জমা দেওয়া হয়নি এবং সীমা হায়দারও নাগরিকত্ব পাবেন না।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, একদিকে যেখানে সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর দাবি উঠেছে, সেখানে সীমা হায়দার নিজেও গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব। গত ১০-১১ দিনে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটিও ভিডিও পোস্ট করা হয়নি। তবে সীমা হায়দারের ভাই বলে পরিচিত তাঁর আইনজীবী এপি সিং ক্রমাগত দাবি করে চলেছেন যে সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে না। তিনি আরও বলেছেন যে সীমা হায়দারের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় তার সমস্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং এটিএস-এ জমা রয়েছে। এর পাশাপাশি, তিনি আরও যুক্তি দিয়েছেন যে সীমা হায়দার জামিনের সময় তাকে দেওয়া সমস্ত আদেশ অনুসরণ করছেন এবং সবেমাত্র ভারতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
কীভাবে ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন সীমা?
পাবজি গেম খেলার সময় ভারতের সচিন মীনার সঙ্গে সীমার বন্ধুত্ব এবং সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে রূপ নেয়। এরপর ২০২৩ সালে চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে আসেন সীমা হায়দার।অবৈধভাবেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। নেপালে সচিন মিনাকে বিয়ে করার পর তিনি ভারতে তাকে বিয়ে করেন এবং এখন নয়ডার রাবুপুরা গ্রামে বসবাস করছেন।