আবারও ২৪০ শিক্ষানবীশকে ছেঁটে ফেলল বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। শুক্রবারই এই গণ-বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে মাইসুরুর ইনফোসিস অফিসে একধাক্কায় অন্তত ৪০০ শিক্ষানবীশ ইঞ্জিনিয়রের চাকরি যায়। সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাঁদের। শোনা হয়নি কোনও আবেদন।
আরও পড়ুন-১৫০০ পয়েন্টের লম্বা লাফ সেনসেক্সের! শেয়ার বাজারের রকেট উত্থান
গণ বরখাস্তের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্ট। একটি বিবৃতিতে ইনফোসিস জানিয়েছে, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষানবীশকে তিনটি প্রচেষ্টায় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। সমস্ত ফ্রেশারদের এই মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও জেনেরিক ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম'-এ যোগ্যতা অর্জনে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এর জেরে তাঁরা আর এই সংস্থাতে চাকরি করতে পারবেন না। ইনফোসিসের দাবি, অভ্যন্তরীন পরীক্ষার বিষয়টি তারা নিয়োগের সময় উল্লেখ করে চিঠিতে। কোম্পানির গ্রাহকদের যাতে দক্ষ কর্মীরা সাহায্য করতে পারেন, সেজন্যই এমন নিয়ম। এতে কাজের গুণগত মান বাড়ে ও গ্রাহকরাও খুশি হয়। সেখানে বলাই থাকে, তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে সকলে। তাতে পাশ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, বরখাস্ত শিক্ষানবীশরা ইনফোসিসের মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে বেঙ্গালুরু বা তাঁদের নিজেদের শহরে ফিরে যাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করার জন্য এক মাসের বেতন পাবেন। মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের অক্টোবর ব্যাচের শিক্ষানবীশদের ১৭ এপ্রিল তৃতীয় এবং চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা হয়। এই প্রচেষ্টায় প্রায় ৭৩০ জন শিক্ষানবীশ অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী ব্যাচের ফলাফল আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হতে পারে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাজ হারানো এক শিক্ষানবীশ বলেন যে ‘আমাদের যোগদানের তারিখ ছিল ২১ অক্টোবর। প্রথমে আমাদের জাভা, তারপর ডিবিএমএসে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে আমাদের একাধিকবার চেষ্টা করার সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যদি কেউ একাধিক পেপারের মধ্যে একটিতেও ব্যর্থ হয়, তবে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। এমনকী যদি আপনি একটি পেপারে ৯০ এবং অন্যটিতে ৬২ নম্বরও পান, তবুও আপনি বাইরে থাকতেন-প্রতিটি বিষয়ে ৬৫ নম্বর ছিল কাটঅফ।’
আরও পড়ুন-১৫০০ পয়েন্টের লম্বা লাফ সেনসেক্সের! শেয়ার বাজারের রকেট উত্থান
এর আগে ২৬ মার্চ মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৩০-৩৫ শিক্ষানবীশকে ছাঁটাই করেছিল ইনফোসিস। পাশাপাশি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মাইসুরু ক্যাম্পাসেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মূল্যায়ন করতে একটি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ইনফোসিসের দাবি, সেখানে অনুত্তীর্ণ হন ৩০০-র বেশি শিক্ষানবীশ। সঙ্গে-সঙ্গেই তাঁদের ছাঁটাই করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এর জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে নারায়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আইটি জায়ান্টটি।