দিনে দুপুরে আমেরিতায় নৃশংস অপরাধের বলি হলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সকলের সামনে এক ব্যক্তি তাঁকে ডালাসের এক মোটেলে খুন করে। শুধু খুনই নয়, দা-র কোপে ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি চন্দ্রমৌলি নাগামাল্লাইয়াহর মুণ্ডচ্ছেদও করে। এই বীভৎস ঘটনার পর গোটা এলাকা সিল করেছে পুলিশ। মার্কিন প্রশাসন নেমেছে তদন্তে। জানা গিয়েছে পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মার্কিন শহর ডালাসে এক মোটেলে কর্মীর সঙ্গে বচসা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্রমৌলি নাগামাল্লাইয়াহর।নাগামাল্লাইয়াহর জন্মসূত্রের যোগ রয়েছে কর্ণাটকে। জানা গিয়েছে, যে মোটেলে তিনি খুন হন, সেখানেই ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বচসা হয় ইয়োর্জদানিজ কোবোস মার্টিনেজ নামের এক ব্যক্তির। মার্টিনেজ ওই হোটেলেই কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। দুই পক্ষের ঝগড়ার সমই ৫০ বছরের চন্দ্রমৌলিকে খুন করে মার্টিনেজ। এক সিসিটিভ ফুটেডে দেখা যাচ্ছে, চন্দ্রমৌলির ছেদ হওয়া মুণ্ড রাস্তায় গড়িয়ে যাচ্ছে। যতটা রাস্তা তা গড়িয়ে যায়, ততখানি অংশে রক্ত লেগে থাকে। এরপর সেই মুণ্ড হাতে নিয়ে এক ব্যক্তি এগোচ্ছেন, যে ব্যক্তির অপর হাতে দা ছিল। এই বীভৎস ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসছে। প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের আমেরিকায় নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে।
কী নিয়ে ঝগড়া?
জানা যাচ্ছে, মার্টিনেজ ওই মোটেলে সাফাই কর্মী। তাকে ভাঙা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন চন্দ্র মৌলি। সেই থেকেই বচসার শুরু। চন্দ্রমৌলি এক মহিলা কর্মীকে দিয়ে অনুবাদ করিয়ে মার্টিনেজকে বিষয়টি বলার জন্য নির্দেশ দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চন্দ্রমৌলির কথার ভঙ্গিমা পছন্দ হয়নি মার্টিনেজের। তার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। এরপরই দা নিয়ে চন্দ্রমৌলির দিকে ছুটে যায় মার্টিনেজ। পার্কিং এলাকায় ছুটতে থাকেন চন্দ্রমৌলি। তখনই তাঁর শিরোচ্ছেদ করে মার্টিনেজ। দিনেদুপুরে সকলের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, চন্দ্রমৌলির স্ত্রী, পুত্ররের সামনেই এই খুন হয়।