পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারতের অপারেশন সিঁদুর কতটা ক্ষতি করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরগুলির, তা বহু পাক জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডারদের ভিডিয়োয় সদ্য উঠে এসেছে। আর এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুলল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এস জয়শংকরের দফতর সাফ বলছে, পাকিস্তানের সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে আঁতাত এই ভিডিয়োগুলি ফের ফাঁস করে দিল। সদ্য, পাকিস্তানের লস্কর ও জইশ কমান্ডারদের ভিডিয়ো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে
মে মাসে ভারতের সামরিক হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলার সময় জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) নেতাদের ভিডিও বার্তা প্রকাশের ফলে সন্ত্রাসবাদীদের এবং পাকিস্তানি রাষ্ট্রের মধ্যে যোগসূত্র প্রকাশ পেয়েছে, বলে দিল্লি সরব হয়েছে। সাম্প্রতি টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলিতে বেশ কয়েকটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করা হয়েছে যেখানে জইশ নেতারা ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করছে। ভিডিওগুলিতে নেতারা পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামোর উপর ভারতের সামরিক হামলার প্রভাব সম্পর্কেও বলেছে।ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলছে, 'সন্ত্রাসীদের সাথে পাকিস্তান রাষ্ট্র এবং সেনাবাহিনীর আঁত সম্পর্কে বিশ্ব ভালভাবে অবগত। এই ধরনের বক্তব্য এটিকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।' বিদেশমন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে শুক্রবার একথা বলেন।
উল্লেখ্য, মে মাসে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশের প্রধান ঘাঁটিতে ভারতীয় সামরিক হামলার ফলে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলে ভিডিয়োয় পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডার। জইশ নেতা ‘অপারেশন সিঁদুর'র বিধ্বংসী প্রভাবও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে ভিডিয়োয়।জইশ-ই-মহম্মদের নেতারা আরও বলে, যে ভারতীয় সামরিক হামলায় নিহত সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা সম্পর্কিত আরেকটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ইসলামাবাদের সাথে কোনও আলোচনার সুযোগ নেই। তিনি বলেন ' আমি এটা স্পষ্ট করছি যে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও ভূমিকা নেই।'
আল-জাজিরার সাথে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশহাক দার বলেছেন যে যখন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ১০ মে 'যুদ্ধবিরতি' সম্পর্কে তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, তখন তাঁকে বলা হয়েছিল যে এর পরে একটি নিরপেক্ষ স্থানে ভারতের সাথে আলোচনা হবে। তবে, দার বলেন যে ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সাথে দেখা করার সময়, মার্কিন বিদেশ সচিব তাঁকে বলেছিলেন যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্ত বিষয় দ্বিপাক্ষিক বিষয়।