মার্কিন মুলুকে বেড়াতে যাচ্ছেন রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয়, ছাপিয়ে গেল চিনের সংখ্যা

বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ভারত চিরকালই অন্যমত চেনা এক গন্তব্য, কিন্তু এবার বিশ্বের পর্যটক তালিকাতেও সে প্রথমের দিকে নাম লেখাল। পরিসংখ্যান বলছে ভারত থেকে লোকেরা আরও বেশি বিদেশ ভ্রমণ করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে আলোচনায় বসেছিলেন জো বাইডেনের সাথে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে কথা বলার সময় মোদী ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার সমস্যার দিকটি যেমন তুলে ধরেন, তেমনই শিল্প প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিও আলোচিত হয়।পর্যটন পরামর্শদাতা আইপিকে ইন্টারন্যাশনালের মতে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারত এবারে এশিয়ার দেশ হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের মধ্যে। ২০২২ সালে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে, বলছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদ শহর দুটিতে দ্রুত নতুন কনস্যুলেট খুলবে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রনেতাদের দিক থেকে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবসা, পর্যটন এবং দুই দেশের মধ্যে পেশাদার ও প্রযুক্তিগত আদান-প্রদানের জন্য ভ্রমণের সুবিধার্থে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স ন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের পরিসংখ্যান কোভিড পূর্ববর্তী সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলি এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষত চিন থেকে কোভিড পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার হার অনেকটাই কমেছে। ভারত গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগত বিদেশী ভ্রমণকারীদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল, যা ২০১৯ সালে ছিল অষ্টম স্থানে৷ এই পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আগত আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷ ভ্রমণকারীদের জন্য প্রাথমিক বাধাটি হল ভিজিটর ভিসা পাওয়া। দ্রুত ভিসা সমস্যাটির নিষ্পত্তি হলে আরও বাড়বে পর্যটনের হার, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এয়ার ইন্ডিয়া সম্প্রতি দুটি নতুন বিমান পরিষেবা নিয়ে এসেছে। মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্ক এবং সান ফ্রান্সিসকো এবং বেঙ্গালুরু থেকে সান ফ্রান্সিসকো পর্যন্ত বিরতিহীন পরিষেবা চালু করেছে তারা। এখন দেখার আমেরিকা ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক মজুবত হওয়ার সাথে সাথে পর্যটকরাও কতটা পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে।