সদ্য রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনের প্রধান ভল্কার তুর্ক ভারতের কাশ্মীর ও মণিপুর ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারই জবাবে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচি দিল্লির অবস্থান তুলে ধরেন। সাফ ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন’।
জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে দিল্লি স্পষ্ট করে দেয় তুর্কের মন্তব্য প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান। ভারতের তরফে অরিন্দম বাগচি বলেন,' যেহেতু ভারতের নাম তুলে বলা হয়েছে, আমি বলব বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে।' এরইসঙ্গে তিনি বলেন,' অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।' অরিন্দম বাগচি বলেন,'ভারতের জনগণ বারবার আমাদের সম্পর্কে এই ধরণের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমরা ভারত এবং আমাদের সভ্যতার বৈচিত্র্য এবং উন্মুক্ততার নীতি সম্পর্কে আরও ভালভাবে বোঝার আহ্বান জানাব।' এদিকে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে তুর্কের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দিল্লি বলছে, তাঁর বক্তব্যে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এমন একটা সময়ে তুর্কের এই মন্তব্য এসেছে, যখন কাশ্মীর শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে, বলে উল্লেখ করেছে দিল্লি। অরিন্দম বাগচি তাঁর বক্তব্য বলেন,' এই বছরটি অঞ্চলের নিরাপত্তার উন্নতি, প্রাদেশিক নির্বাচনে রেকর্ড ভোটার উপস্থিতি, পর্যটনের ক্রমবর্ধমান বিকাশ এবং দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল।' উল্লেখ্য, মণিপুর নিয়েও মন্তব্য করেছেন তুর্ক। সেক্ষেত্রে তিনি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর উদ্বেগ খণ্ডন করে অরিন্দম বাগচি সাফ বলেন, ভারত 'বারবার আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে।'
( Madhyamgram Murder case: নীল ট্রলিতে পিসিশাশুড়ির দেহ.. লাল ট্রলিতে কী? মধ্যমগ্রামকাণ্ডে রহস্যময় দ্বিতীয় ব্যাগের হদিশ)
( Bangladesh New Party: বাম, নাকি ডানপন্থী হয়ে বাংলাদেশে এগোবে ইউনুসের প্রাক্তন উপদেষ্টা নাহিদদের পার্টি? মুখ খুলল এনসিপি)
( Lucky Zodiac Signs: কুম্ভ, মিথুন, ধনুর টাকাকড়ির ভাগ্যে আসছে অপার লাভ! একযোগে কৃপা করবেন সূর্য, শনি, বলছে জ্যোতিষমত)
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি তার বক্তব্যের সাপেক্ষে সেখানে ভোটদানের হারও তুলে ধরেছে। পর্যটনের বিকাশের কথা তুলে ধরেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, তুর্কের রিপোর্টে, ইউক্রেন এবং গাজা থেকে শুরু করে আফগানিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত সংঘাত এবং মানবাধিকার উদ্বেগগুলিকে তুলে ধরা হলেও, তাতে পাকিস্তানের উল্লেখ নেই।