হিউম্যানমেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভিতে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার রাত পর্যন্ত রয়েছে ৫ টি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, আক্রান্তদের কয়েকজন কর্ণাটক, কয়েকজন তামিলনাড়ু ও গুজরাটের বাসিন্দা। তবে, এই ভাইরাস নিয়ে এখনই ‘চিন্তার কিছু নেই’ বলে অভয়বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।
এইচএমপিভি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে শোরগোল। সকালেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, কর্ণাটকে ২ শিশু এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। এরপর জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুতে চেন্নাইতে ২ শিশু এই ভাইরাসে সংক্রমিত। একটি খবর এসেছে আমেদাবাদ থেকে। এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা খুবই সজাগ রয়েছে এইচএমপিভি নিয়ে। নজরদারি জারি রয়েছে, যাতে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা মোকাবিলা করা যায়।
( Nimisha Priya:প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নেই, কেরলের নার্সের মৃত্যুদণ্ডের কেস দেখছে হুথি জঙ্গিরা! বার্তা ইয়েমেনের দূতাবাসের)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,' চিন্তার কোনও কারণ নেই।' তিনি বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন,' স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট করেছেন যে এইচএমপিভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এটি বহু বছর ধরে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এইচএমপিভি বাতাসের মাধ্যমে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।' তিনি আরও স্পষ্ট করে বিষয়টি নিয়ে বলেছেন,' এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে। শীত ও বসন্তের প্রথম দিকে ভাইরাসটি বেশি ছড়ায়।' তিনি বলেন,'সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলিতে, চিনে এইচএমপিভির ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের তরফে চিনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে।' তিনি জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও ভারতের সঙ্গে কথা বলছে। তারাও তাদের রিপোর্ট দিল্লিকে দেবে।
( Rahu Gochar 2025: রাহু খুব শিগগিরই আসছেন কৃপায় মেজাজে! ২০২৫ এ কবে থেকে ভালো সময় শুরু মেষ সহ ৪ রাশির?)
( Dhanadhya Yog: বহু বছর পর তৈরি হয়েছে ধনাঢ্য যোগ! শুক্র, শনির কৃপায় টাকা, সমৃদ্ধির জোয়ার ৩ রাশিতে)
( Bangladesh on Sheikh Hasina: ‘অনুমতি পেলে ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ’এর হুঙ্কার বাংলাদেশের তদন্তকারী কমিশনের)
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বার্তা,'আইসিএমআর এবং ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রামের সাথে উপলব্ধ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসগুলির জন্য দেশের ডেটাও পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং ভারতে সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাল প্যাথোজেনের কোনও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি।' ফলে তিনি অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।