শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পেতে মরিয়া চেষ্টায় ইউনুস সরকার। এরই মাঝে, সোমবার ঢাকায় রাওয়াক্লাবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন শেখ হাসিনাকে ঘিরে তদন্ত নিয়ে মুখ খোলে। কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান এদিন সাফ বার্তায় বলছেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন।
এদিনের সভায়, ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর হত্যকাণ্ড কোনও ধরনের বিদ্রোহ ছিল না। এটা ষড়যন্ত্র ছিল সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে বিডিআর, সেনা বাহিনী, দেশকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, তদন্তের বাইরে কোনও দল বা গোষ্ঠীকে রাখা হবে না। এমনকি শেখ হাসিনাকেও আনা হবে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়। তিনি বলছেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের ভিতরের কাজগুলি শেষ করে, তারপর দেশের বাইরের কাজগুলি শুরু হবে। ফজলুর রহমানের বার্তা, কমিশন, তদন্ত করে এমন এক দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চায়, যাতে ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনা আর না ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ছাত্র-জন অভ্যুত্থানের জেরে মসনদচ্যূতি হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরপর তিনি চলে আসেন ভারতে। এদিকে, ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন,' ভারত শেখ হাসিনাকে দেশে না পাঠালে, তাদের অনুমতি পেলে তদন্ত কমিশন ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।' শেখ হাসিনাকে তদন্তের ময়দানে আনতে বাংলাদেশ এতটাই মরিয়া যে ফজলুর রহমান বলেন,'কোনও সিকিউরিটি আর যানবাহন না দিলেও কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।'
এদিকে, ক্রমেই শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোমর কষছে বাংলাদেশ। সোমবার বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। কমিশনের ঢাকার কার্যালয়ে এক সভায় তিনি একথা বলেন। তবে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার যদি সেখানে হাজিরা না দেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে, বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।