জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সঙ্গে হামাসের যোগ থাকতে পারে। এমনই বিস্ফোরক ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজার।ইজরায়েলের মাটিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গণহত্যা চালায় হামাস। অন্যদিকে, ২২ এপ্রিল ভারতের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা। নির্বিচারে পর্যটকদের হত্যা। এই দুই হামলার কৌশলে অদ্ভূত ভয়ংকর মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। (আরও পড়ুন: শুরু অ্যাকশন, ধ্বংস হল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় জড়িত দুই জঙ্গির বাড়ি)
আরও পড়ুন-'সন অফ..! ইজরায়েলি পণবন্দিদের হস্তান্তর, হামাসকে তুলোধোনা প্যালেস্তাইন প্রেসিডেন্টের
কাশ্মীরে জঙ্গি হানার কড়া নিন্দা করে এনডিটিভি-কে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল তার মধ্যে মিল রয়েছে। ইজরায়েলে এক সঙ্গীত উৎসবের সময় হামলা চালিয়েছিল হামাস। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।' তিনি বলেন, সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা। তারপরই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা। এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলাকে একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ বলে মনে করছেন আজার।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক জায়গায় পাক সেনার হামলা, প্রত্যাঘাত ভারতের
একই সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, 'ভারত সরকারের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপের আমি খুবই সন্তুষ্ট।' ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া। এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদীদের উপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি বাতিল, আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো ভারতের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।