‘এত বড় জঙ্গি হামলা হল, অথচ ওদের কাছে কোনও খবর নেই? নিচে গোটা সেনাবাহিনীর বেস রয়েছে, তারা কেউ জানেই না!’ বাবাকে হারিয়ে ছোট্ট খুদের মুখেও এবার শোনা গেল এই প্রশ্ন। ‘হিন্দু আলগ হো যাও মুসলিম আলগ হো যাও’ বলার পরই তাঁর বাবাকে গুলি করা হয়। ভারতবর্ষের সুইজারল্যান্ড পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার শিকার হন ২৬ জন পর্যটক। বেছে বেছে পুরুষদেরই গুলি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল এই শিশুটির বাবাও। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে খুদেটি তার সেদিনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছে।
‘মুসলিম আলাদা হয়ে যাও, হিন্দু আলাদা হয়ে যাও’
শৈলেস কালাথিয়া নামে মৃত ওই সহনাগরিকের ১২ বছর বয়সি পুত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাঁচ পয়েন্ট দেখেছিলাম। এর মধ্যেই মিনি সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে খিদে পেয়ে গিয়েছিল। একটা রেস্তোরাঁতে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলাম। তখনই গান ফায়ারিংয়ের আওয়াজ শুনতে পাই। রেস্তোরাঁ মালিককে জিজ্ঞেস করলে তারা কিছু বলতে পারেননি। পরে যখন বুঝলাম, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তখন আমরা লুকিয়ে গেলাম। ওখানে দুজন ছিল। ওরাই বলল, মুসলিম আলাদা হয়ে যাও, হিন্দু আলাদা হয়ে যাও। শুধু ছেলেরা। এর পর মুসলমানদের কলমা পড়তে বলে। এর পর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে গুলি মেরে দিল।’
‘দেড় ঘণ্টা পর এল সেনা’
খুদের কথায়, ‘গান ফায়ারিংয়ের পর আমাদের স্থানীয় লোকরা বাঁচাতে আসেন। বেরিয়ে আসতে বলেন। আমরা বেরিয়ে আসি। তখনও কেউ সেখানে আসেনি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সেখানে সেনা এল। এত বড় আর্মি বেস রয়েছে, অথচ তাদের কারও কাছে কোনও খবর নেই।’
আরও পড়ুন - শিমলা চুক্তি বাতিল করতে পারে পাকিস্তান, যুদ্ধের শখে? ১৯৭২ সালে কেন হয়েছিল এই চুক্তি
‘পহেলগাঁওতে আর্মি রাখো অন্তত দু-তিন জন হলেও’
খুদের কথায়, ‘আমার আর্জি পহেলগাঁওতে আর্মি রাখো। অন্তত দু-তিন জন হলেও রাখো।’ এর পর এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন,‘পরে কখনও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করবে ওখানে?’ শিশুটি বলে ‘নাহ, আর কখনও না।’