লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনে গিয়ে ভারতীয় দল হারের মুখ দেখেছে। লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে ভারতীয় দল হেরে গিয়ে পিছিয়ে পড়েছে ১-২ ফলে। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজে আপাতত ভারত পিছিয়ে রয়েছে। লর্ডস টেস্টে পঞ্চম দিনে ভারতীয় দলের কাছে জয়ের সুযোগ ছিল, তবে তাঁর জন্য একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল। আর ব্যাটারদের একটু মাথা ঠান্ডা করে খেলার প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু প্রথম সেশনেই ইংল্যান্ডের বোলারদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। বেন স্টোকস, জোফ্রা আর্চারদের চাপের মুখে ভারতের চার উইকেট দ্রুত পরে যায় মাত্র ৫৪ রানের মধ্যেই। একটা সময় ৮ উইকেটে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ১১৮। সেখান থেকে বুমরাহ, সিরাজদের সঙ্গে নিয়ে জাদেজা লড়লেও ভারতকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
দিনের শুরুতেই ঋষভ পন্তকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান আর্চার। এরপর এলবিডাব্লু হন লোকেশ রাহুল। প্রথম ইনিংসে শতরানকরা রাহুল ৩৯ রানে খেলছিলেন, ভালোই ছন্দে ছিলেন। স্টোকসের বল রাহুলের প্যাডে লাগলেও প্রথমে ফিল্ড আম্পায়ার শারফুদ্দুলাহ আউট দেননি, কিন্তু এরপর স্টোকস রিভিউ নেন। এরপর বল ট্র্যাকারের প্রযুক্তি অনুযায়ী আউট হন রাহুল।
এই আউটের সিদ্ধান্তটা একদমই মনে ধরেনি সুনীল গাভাসকরের। ধারাভাষ্য দিতে দিতেই তিনি ডিআরএস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন যে ভারত ব্যাটিং করলেই বোধহয় ডিআরএস একটু অন্যরকমভাবে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ আরও ভালোভাবে বললেন, একপ্রকার তিনি ডিআরএসে কারচুপির অভিযোগই তোলেন। কারণ জো রুট আবার এই ম্যাচেই লাইফলাইন পেয়েছিলেন ডিআরএসের সুবাদে।
সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘আমার অবাক লাগছে, কারণ বল অতটাও বাউন্স খায়নি। ভারতীয় বোলাররা যখন বোলিং করছিল তখন রিভিউতে দেখা যাচ্ছিল বল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টাম্পের ওপর থেকে যাচ্ছে। আমি তো এই প্রযুক্তি নিয়েই প্রশ্ন তুলছি ’। এদিকে এই ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ার পল রেইফেলের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার অন্দরে।