মেয়ের উপার্জনের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয় বাবাকে। কটাক্ষ করেছিল বাইরের লোক।আর সেই কটাক্ষ শুনতে শুনতে রেগে গিয়েই মেয়েকে গুলি করে খুন করলেন বাবা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব হত্যাকাণ্ডে।পরপর পাঁচটি গুলি চালিয়ে মেয়ে রাধিকা যাদবকে (২৫) খুন করেছেন বাবা দীপক যাদব। (আরও পড়ুন: পাকের চিন্তা বাড়িয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ৩১১৯ কোটি চাইল ভারত, কোন খাতে হবে খরচ?)
আরও পড়ুন: 'কপিল শর্মার ক্যাফেতে হামলা নিয়ে মোদীকে দায়ী করছে খলিস্তানিরা'
বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের বাড়িতে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় উঠতি টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের। রান্না করছিলেন রাধিকা, সেই সময়ই বাবা দীপক যাদব (৪৯) পিছন থেকে পরপর ৫ বার গুলি চালান। তিনটি গুলি রাধিকার বুকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। তরুণ খেলোয়াড়ের মর্মান্তিক পরিণতির পর গোটা ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।কিছু দিন আগে রাধিকা কাঁধে চোট পাওয়ার জন্য নিয়মিত খেলতে পারছিলেন না। তাই বাচ্চাদের জন্য তিনি টেনিস অ্যাকাডেমি শুরু করেছিলেন। সেই নিয়েই বাবার সঙ্গে অশান্তি সূত্রপাত। (আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম স্টোর লঞ্চ করছে টেসলা, কবে কোথায় খুলবে দোকান? গাড়ির দাম হবে কত?)
আরও পড়ুন-শুভাংশু শুক্লাদের ঘরে ফেরা পিছোল! হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?
পুলিশ জানিয়েছে, রাধিকার টেনিস অ্যাকাডেমি চালানো নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর বাবার। বাইরে গেলে লোকের কাছে নানান কথা শুনতে হতো। মেয়ের উপার্জনে সংসার চলে, তা নিয়ে কটাক্ষ করত লোকজন। মেয়েকে বারবার বলেছিলেন অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতে। কিন্তু বাবার কথা মানতে চাননি রাধিকা। আর তাতেই রেগে গিয়ে মেয়েকে গুলি করে খুন করেন দীপক। পুলিশের জেরায় দীপক জানান, 'ওয়াজিরাবাদে আমি যখন দুধ কিনতে যেতেন, তখন লোকজন কটাক্ষ করত যে আমি মেয়ের উপার্জনে বাঁচি। আমি খুব বিরক্ত ছিলাম। কয়েকজন আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। আমি মেয়েকে বলেছিলাম টেনিস অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতে, কিন্তু ও রাজি হয়নি।' দীপক আরও বলেন, 'আমার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছিল এই কথায়। আমি খুব চাপে ছিলাম। সেই কারণেই আমি লাইসেন্সড রিভলভার বের করি, রাধিকা তখন রান্না করছিল। পরপর গুলি চালাই, ওর কোমরে গুলি লাগে। আমিই আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছি।'
আরও পড়ুন: গুজরাটের সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ৪৮ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ একাধিক
পুলিশ জানিয়েছে, রাধিকার মা মঞ্জু কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁর শরীর খারাপ ছিল। জ্বর থাকায় তিনি উপরে ঘরে চলে গিয়েছিলেন। দীপকের ভাই কুলদীপ যাদব পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন।তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে তিনি গুলির আওয়াজ শুনতে পান। তখন দোতলায় গিয়ে দেখেন তাঁর ভাইঝি রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছেন। আর দীপকের রিভলভারটি ড্রয়িং রুমে রাখা। কুলদীপ ও তাঁর ছেলে পীযূষ যাদব রাধিকাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।কেন এইভাবে খুন হতে হল রাধিকাকে, কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না কুলদীপ।