সদ্য নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। পর পর তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে এসেছে এনডিএ সরকার। তবে জোটের ভিতরে বিজেপির শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ড শিবিরের সাংসদ শ্রীরঙ্গ বারনে প্রশ্ন তুললেন এনডিএর মন্ত্রিসভা গঠনের ফর্মুলা নিয়ে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, নবগঠিত মোদী-মন্ত্রিসভার অন্দরে কি তাহলে ছন্দপতন হয়েছে?
মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা শিবির। এছাড়াও সেই জোটে মহারাষ্ট্রে রয়েছে অজিত পাওয়ারের এনসিপি। এদিকে, অজিত পাওয়ারের এনসিপিকে, প্রতি মন্ত্রীর পদে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব বিজেপি দিয়েছিল বলে খবর। তবে অজিত পাওয়ার শিবির সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি, তাদের দাবি ছিল দিলে, পূর্ণমন্ত্রীর পদ দিতে হবে, নয়তো নয়। তা নিয়েও রবিবার অজিত পাওয়ার মুখ খোলেন। এরপর মহারাষ্ট্রে বিজেপির আরও এক শরিক দল একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সাংসদ শ্রীরঙ্গ বারনে মোদী মন্ত্রিসভা গঠনর ফর্মুলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। শ্রীরঙ্গ বারনে বলছেন, ‘আমরা দুটি মন্ত্রীপদ আশা করেছিলাম। চিরাগ পাসওয়ানের ৫ জন সাংসদ, জিতেন রাম মাঞ্ঝির ১ জন, জেডিএসের ২ জন সাংসদ… তাঁরা প্রত্যেকে একটি করে মন্ত্রক পেয়েছেন। এরপর ৭ টি লোকসভা সাংসদ নিয়ে কেন শিবসেনা (শিন্ডে) একজন স্বাধীন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদ পাবে? শিবসেনা বিজেপির পুরনো সঙ্গী। তার জন্য অন্তত শিবসেনা (শিন্ডে)র একজন পূর্ণমন্ত্রীর পদ পাওয়া জরুরি ছিল।’
উল্লেখ্য, অজিত পাওয়ারের এনসিপিও এর আগে এনডিএ সরকারের মন্ত্রিত্ব ইস্যুতে সব হয়েছিল। মন্ত্রিত্বের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলে অজিতের এনসিপি। এরপর ববু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে যে, মোদী সরকারের বিজেপি সাংসদ কেরলের সুরেশ গোপী এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, তাঁর মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিলনা, তাঁকে হয়তো ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরে সুরেশ গোপী জানান, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন এমন, মিডিয়া রিপোর্ট ভুল। সবমিলিয়ে মোদী মন্ত্রিসভার অন্দরে পথচলার সময়কাল শুরু হতেই একের পর এক খবর ঘিরে জাতীয় রাজনীতি সরগরম।