মূলত, নজরদারি-মূলক ভূমিতে থাকা শত্রুর ব়্যাডারকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও বলছে, শত্রু শিবিরের যাবতীয় প্রতিরক্ষার বেড়াজাল কাটিয়ে রুদ্রম রাডার, ট্র্যাকিং ও শত্রুর যোগযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করে দিতে পারে।
রুদ্রম-২ এর সফল উৎক্ষেপণ। (ANI Photo)
অ্যান্টি ব়্যাডিয়েশন সুপারসনিক মিসাইল রুদ্রম-২ এর সফল উৎক্ষেণ ভারতের। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্র ডিআরডিওর তরফে এই সুপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা বুধবার হয়। চিন ও পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্য গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এদিন সুখোই 30MKI যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। সেই পরীক্ষায় সাফল্য হাতে পেয়েছে ডিআরডিও।
ভারতের মাটিতে তৈরি প্রথম অ্যান্টি ব়্যাডিয়েশন মিসাইল রুদ্রম ২ নিজের সমস্ত লক্ষ্য ভেদের মাপদণ্ড পূরণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আছড়ে পড়া, এর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, প্রপালশন সিস্টেম সহ বিভিন্ন দিক কার্যত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। মূলত, নজরদারি-মূলক ভূমিতে থাকা শত্রুর ব়্যাডারকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়াও বিপক্ষের সংযোগকারী বিভিন্ন স্টেশনেও আছড়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে এই ক্ষেপণাস্ত্র। উল্লেখ্য, রুদ্রম-১ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ আগেই করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ৪ বছর পর এল রুদ্রম ২। এর আগে, ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে রুদ্ম ১ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ডিআরডিও বলছে, শত্রু শিবিরের যাবতীয় প্রতিরক্ষার বেড়াজাল কাটিয়ে রুদ্রম রাডার, ট্র্যাকিং ও শত্রুর যোগযোগ ব্যবস্থা ছিন্ন করে দিতে পারে। আকাশ থেকে ভূমি সংক্রান্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারকে আরও পরিপূর্ণতা দিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।