ইউরোপিয়ান ফুটবলকেই বর্তমান বিশ্বের সব থেকে বেশি প্রতিযোগিতাময় ফুটবল, বা উন্নততর ফুটবল হিসেবে দেখা হয়। মনে করা হয়, এই মহাদেশের ফুটবলের মান অন্যান্য মহাদেশের থেকে কিছুটা হলেও বেশি। লা লিগা, ইপিএল, বুন্দেসলিগা, লিগ ওয়ানের দাপটে ব্রাজিলিয়ান লিগ বা আর্জেন্তাইন লিগে তেমন কেউ চোখ রাখেন না বললেই চলে। যদিও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আসরে এসে ইউরোপিয়ান লিগের দলগুলোকে টেক্কা দিয়েই চলেছে অন্যান্য মহাদেশের ক্লাবগুলো।
আগেই রিয়াল মাদ্রিদকে আটকে দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। এছাড়াও লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি কদিন আগেই হারিয়ে দিয়েছে এফসি পোর্তোকে। ব্রাজিলের বোটাফোগো তো একদিন আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা পিএসজিকেও হারিয়ে দিয়েছিল। এবার ইউয়েফা কনফারেন্স লিগজয়ী চেলসিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো।
ফিলাদেলফিয়ার মাঠে প্রায় ৫৫ হাজার দর্শকের সামনে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিল ফ্ল্যামেঙ্গো। অবশ্য এটা হওয়ারও ছিল। কারণ ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেই চেলসিকর কোচ এনজো মারেসকা বলেছিলেন, এই প্রতিযোগিতা তাঁদের কাছে প্রি সিজনের মতো। তাই ফুটবলারদের থেকেও তেমন গাছাড়া মনোভাবই দেখা গেল মাঠে।
১৩ মিনিটেই পেদ্রো নেতোর গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। তবে সেই লিড গোটা ম্যাচে ধরে রাখতে পারেনি ইংল্যান্ডের দলটি। ফিলিপে লুইসের কোচিংয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিলের দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে ৬২ মিনিটে ব্রুনো হেনরিকস এবং ৬৫ মিনিটে দানিলো গোল করে ফ্ল্যামেঙ্গোকে এগিয়ে দেন ২-১ গোলে। এরপর ৬৮ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের বাজেভাবে পা চালানোর জেরে তিনি লালকার্ড দেখেন, আর তাতেই দশ জনে নেমে যায় চেলসি। এরপর তাঁরা পুরোপুরি খেলা থেকে হারিয়ে যায়।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ওয়ালেস ইয়ান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধান ধরে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ব্রাজিলের দলটি। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে যেভাবে ব্রাজিলের দল নজর কাড়ছে, তাতে আগামী বিশ্বকাপের আগে স্বপ্ন দেখতেই পারেন সেলেকাও সমর্থকরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।