ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠা কেবল ধর্ম বা উপাসনার বিষয় নয়। ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠলে, এটি আপনার জীবনকে বদলে দেয়। এই সময়টি আপনাকে কেবল মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও বদলে দিতে পারে। এই সময়টি সম্পূর্ণ সৃজনশীল সময় যখন আপনি নিজের চিন্তাভাবনার উপর মনোনিবেশ করতে পারেন। ব্রাহ্ম মুহুর্ত কী এবং এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার সুবিধা কী তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রাহ্ম মুহুর্ত কী?
ব্রাহ্ম মুহুর্ত সময়টি ভোরের আগে। সূর্যোদয়ের প্রায় এক ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে সময়টিকে ব্রাহ্ম মুহুর্ত বলা হয়। তবে এই সময়টি ঋতু অনুসারে পরিবর্তিত হয়। এই সময়ে ঘুম থেকে উঠলে কেবল যোগব্যায়াম অনুশীলন করাই নয়, ধ্যান এবং সাধনা করাও সহজ হয়। সদগুরু ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠার সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা উভয়ই উল্লেখ করেছেন। মেলাটোনিন হরমোন একটি মেজাজ স্থিতিশীলকারী এবং এটি একটি আধুনিক ঔষধও। এটি তৈরি করার সময়। এই সময়ে আপনি নিজেকে তৈরি করতে পারেন। ব্রাহ্ম মুহুর্তে শান্তির পরিবেশ থাকে। যা কেবল ইতিবাচক শক্তিই দেয় না। এই সময়ে মন প্রশান্ত থাকে এবং মন একাগ্রতায় আরও সাহায্য পায়। তাই ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠা মনকে শিথিল করে। মনকে একাগ্র করতে সাহায্য করে। ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি মনকে একাগ্র করতে সাহায্য করে। এই সময়ে আমাদের আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। এমন সময়ে আপনি যেকোনো নতুন জিনিস শিখতে এবং মনে তা শোষণ করতে সফল হতে পারেন। তা সে নতুন যোগাসন হোক বা ধ্যান। বই পড়ার পরেও তা সহজেই মনে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাতে তারা সহজেই জিনিস শিখতে পারে। কোনও ধরণের হস্তক্ষেপ নেই যদি আপনি নতুন কিছু শিখতে চান, তাহলে ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠা উপকারী। এই সময়ে কোনও ধরণের বিক্ষেপ নেই। যার কারণে নতুন জিনিস শেখা এবং বোঝা সহজ হয়। ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে ওঠার ধর্মীয় তাৎপর্যও রয়েছে। যখন আপনি যেকোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই ধর্ম পালন করেন, তখন এটি আপনার মনকে শিথিল করতে এবং ইতিবাচক শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।