গত নির্বাচনে হেরে মার্কিন রাষ্ট্রপতির পদ খোয়ানোর পরেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই দাবি করা হল মার্কিন রিপোর্টার বব উডওয়ার্ডের নয়া বইতে। আগামী সপ্তাহে এই বই প্রকাশ পাওয়ার কথা। আর সেখানেই ট্রাম্প এবং পুতিনে নিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করেন সেই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। নিজের বইতে উইডওয়ার্ড দাবি করেছেন, গত ৪ বছরে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পরও অন্তত ৭বার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। সেই সব ফোনালাপের কথাও এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। এমনকী জো বাইডেনের আমলে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর অ্যাভ্রিল হেইন্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর কি পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প ফোনে কথা বলেছিলেন? তবে তিনি সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: মোদীর উপহার দেওয়া দেবীর মুকুট চুরি, বাংলাদেশের ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন: ৫ চিকিৎসকের বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলছে চিকিৎসা, এখন কেমন আছেন অনিকেত?
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ুক না বাড়ুক, একলাফে এই ভাতা বাড়ছে ২৫%, জারি মেমো
আরও পড়ুন: SCO সম্মেলনের আগে রক্তে ভিজল পাকিস্তানের মাটি, জঙ্গি হামলায় মৃত ২০
বইতে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালেরই শুরুর দিকে নিজের অফিসের এক কর্মীকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিনের সঙ্গে কথা বলার জন্যে। সেই কর্মীই নাকি উইডওয়ার্ডকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ খোয়ানোর পরে অন্তত আরও ৬ বার পুতিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন। এদিকে বই প্রকাশের আগেই সেটির একটি কপি চলে এসেছে সিএনএন-এর হাতে। তারাই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এদিকে সেই বইতে আরও দাবি করা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টকে ব্যক্তিগত ভাবে উপহারও পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে বড় ঘোষণা, রাজ্য সরকারি কর্মীদের একলাফে 'লাভ' হবে ৬ লাখ)
আরও পড়ুন: 'বন্ধু হারাল ফ্রান্স', রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর
আরও পড়ুন: উৎসবের মাঝেই সরকারি কর্মীদের জন্যে 'দুঃসংবাদ', এবার ছাঁটাই করতে পারে সরকার
বইতে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালে কোভিডের সময় পুতিনে বেশ কয়েকটি কোভিড টেস্ট মেশিন পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। এই মেশিনগুলি পুতিনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে ট্রাম্প পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে বইতে। এদিকে উপহার পেয়ে নাকি ট্রাম্পকে পুতিন বলেছিলেন, 'দয়া করে কাউকে বলো না যে এগুলো পাঠিয়েছ।' জবাবে নাকি ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ঠিক আছে। আমার এতে কিছু যায় আসে না।' এরপর পুতিন নাকি বলেছিলেন, 'না না, তুমি বুঝতে পারছ না। আমি এই কথা বলতে বারণ করছি, কারণ, লোকে এটা জানলে তোমার ওপর ক্ষেপে যাবে। আমার বিষয়ে কারও তেমন কিছু নেই।'