পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে সম্প্রতি আরও এক ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারাণসী থেকে ধৃত ২৮ বছর বয়সি মহম্মদ তোফায়েলের মোবাইল ফোন থেকে দেশবিরোধী ভিডিয়ো, মেসেজ, ছবি উদ্ধার করল অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। জেরায় জানা গিয়েছে, এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় বেশ প্রভাবিত হয়েছিল এই তোফায়েল। এই আবহে সে অন্যদের ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিত। নিজেও পাকিস্তানের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে। তার যোগ তৈরি হয় তেহরিক-ই-লাব্বাইকের সঙ্গে। ভারতে শরিয়ত চালু করতে চাইত সে। (আরও পড়ুন: 'শুধু বাংলাদেশ কেন, সেভেন সিস্টারেরও বন্দর চট্টগ্রাম', হঠাৎ যেন সুর বদল ঢাকার!)
আরও পড়ুন: ইউনুস সরকারের ওপর আরও চাপ ভারাতের, ঢাকার আপত্তি সত্ত্বেও বড় বার্তা দিল্লির
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন, রাখাইন করিডোর জল্পনার মাঝে বাংলাদেশে পা US বাহিনীর! কী বলছে ভারত?
প্রায় দেড়বছর আগে প্রয়াগরাজে ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে এক বাস কন্ডাক্টরের উপর হামলা করেছিল এক সংখ্যালঘু যুবক। সেই ঘটনায় গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এই তোফায়েল। আর প্রায়শই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে প্রয়াগরাজের ঘটনা নিয়ে উস্কানিমূলক বার্তা পাঠাত সে। নিজের হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দিত সেই ঘটনা সম্পর্কিত ভিডিয়ো। এহেন তোফায়েলের হোয়াটসঅ্যাপ কনট্যাক্টে পাকিস্তানের ৬০০ নম্বর ছিল। পাকিস্তানিদের সঙ্গে ইনপুট শেয়ার করত তোফায়েল। এই নম্বরগুলি এটিএস অন্যান্য গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করেছে। পাকিস্তানে তাদের কর্মকাণ্ড কী, তারা কোন কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তার পূর্ণাঙ্গ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 'নোবেলজয়ী হিসেবে সারাজীবনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে',দেশ ছেড়ে পালানোর ছক ইউনুসের?)
আরও পড়ুন: অমানবিক পাক, দুর্যোগে পড়া ইন্ডিগোর বিমানের সঙ্গেও 'শত্রুতা' মুনিরের দেশের!
আরও পড়ুন: '…ভারতের নিশ্বাস বন্ধ করব', মার খেয়েও হাফিজ সইদের ভাষায় কথা পাক সেনা কর্তার
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর প্রয়াগরাজের সিভিল লাইন থেকে কারচানা যাওয়ার ইলেকট্রনিক বাসে সেই সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই বাসে করে যাচ্ছিল হাজিগঞ্জ সোরাওঁর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিটেক প্রথম বর্ষের ছাত্র লারেব হাশমি। তার সঙ্গে কলেজের গেটের সামনে বাস কন্ডাক্টর হরিকেশ বিশ্বকর্মার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। সেই সময় তাকে চপার দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছিল হাশমি। হামলার পর তারা চপার নেড়ে ধর্মীয় স্লোগান দিয়েছিল সে। একটি ভিডিয়ো করে পয়গম্বরের অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিল সে। উক্ত ঘটনার ভিডিয়ো বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করত তোফায়েল। এছাড়া রাজস্থানের হামলার ঘটনার ভিডিয়োও শেয়ার করত এই তোফায়েল। (আরও পড়ুন: ভারতকে 'চাপ' দিতে গিয়ে এখন নিজেরই 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থা ইউনুসের)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভারতীয় 'ইকোনমিক জোন' নিয়ে চর্চা তুঙ্গে, ঢোক গিলল ইউনুসের সরকার
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইকের হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপে ছিল এই ব্যক্তি। পাকিস্তানের ওই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের নেতা মৌলানা শাহ রিজভির কাছে ভারতের ভিডিয়ো পাঠাত। এখানেই শেষ নয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার জন্য নানা ধরনের বার্তাও পাঠাত। মেসেজে গাজওয়া-ই-হিন্দের কথা বলা হত। ভারতে শরিয়ত চালুর ব্যাপারেও জনমত তৈরি করার চেষ্টা চলত। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ না গার্ডিয়ান? সেভেন সিস্টার নিয়ে কটাক্ষ করা ইউনুসকেই যেন বার্তা মোদীর)
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তোফায়েলের বয়স যখন ২২ বছর, তখন তার বাবা তার মাকে তালাক দেন। এরপর তোফায়েল তার মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে আদমপুরের নওয়াপুরার নানিহলে চলে আসে। এখান থেকেই সে তাঁত বুনতে শুরু করে। মাদ্রাসা থেকে মাত্র সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল সে।