উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল গত ১০ই ডিসেম্বর। তবে এবার ডেপুটি চেয়ারম্যান বিরোধীদের সেই নোটিশকে খারিজ করে দিলেন। তার পেছনে একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
তারই কিছু নির্যাস উল্লেখ করা হল। প্রায় ৬০জন বিরোধী এমপি সকলেই ইন্ডিয়া জোটের আওতায় রয়েছেন তাঁরা গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোদীর অফিসে একটি নোটিশ জমা দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে সরানোর দাবি করেছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন সেই ২০২২ সাল থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। কিন্তু তিনি বড্ড পক্ষপাতিত্ব অবস্থান নেন। এমনকী ৬ পয়েন্টের একটা ‘চার্জশিটও’ তাঁরা জমা দিয়েছিলেন।
সেখানে বলা হয়েছিল যে বিরোধী এমপিদের তিনি বলতে দেন না। বার বার বাধা তৈরি করেন। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বার বার দাবি করেছেন যে বলতে দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরেও বলতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে যে নোটিশটা তাঁরা দিয়েছিলেন সেখানে কোনও নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়নি। ৬০জন বিরোধী সাংসদ সই করেছিলেন তাতে। আর্টিকেল ৬৭(বি) অনুসারে তাঁরা দেশের উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়েছিলেন।
এদিকে আর্টিকেল ৬৭(বি) অনুসারে উপরাষ্ট্রপতিকে সরাতে গেলে ১৪ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বরে নোটিশ দেওয়া হলে সেটা প্রস্তাব আকারে আসতে ২৪ ডিসেম্বরের পরে হবে। বর্তমানে ২৬৬তম সেশন সেটা চালু হয়েছে ২৫শে নভেম্বর। সেটা শেষ হবে ২০শে ডিসেম্বর।
এদিকে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের যে রুলিং দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই নোটিশের ক্ষেত্রে একাধিক অসংগতি রয়েছে। নির্দিষ্ট কাউকে লেখা হয়নি। মনে হচ্ছে ক্যাজুয়ালভাবে লেখা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্টের নামের বানানও বহু জায়গায় ভুল। মনে করা হচ্ছে ভাইস প্রেসিডেন্টকে মর্যাদা হানি করতেই এই ধরনের নোটিশ আনা হয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে এই ধরনের একটি নোটিশ জমা পড়েছিল ডেপুটি চেয়ারম্যানকে সরানোর ব্যাপারে। কিন্তু সেটা কেবলমাত্র খারিজ হয়েছিল ফরম্যাট ঠিক ছিল না বলে।