উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলায় এক মূকবধির মহিলাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছেই একটি নির্জন মাঠে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় অভিযুক্তদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে পুলিশের। তাতে জখম হয় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে নারকীয় ঘটনা! বাগদত্তাকে বেধড়ক মারধর করে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ
জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মহিলাটি তার মামার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুই ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে কাছাকাছি একটি নির্জন মাঠে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মূক ও বধির হওয়ায় তিনি সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকতে বা ফোন করতে পারেননি। ঘটনার এক ঘণ্টা পরও মহিলা বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে খুঁজতে শুরু করে। পরে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি মাঠে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়।মহিলাকে দ্রুত জেলা মহিলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি মানসিকভাবে গভীরভাবে বিপর্যস্ত। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মহিলার ভাই ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর এবং অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের মাধ্যমে গ্রেফতার করে। পুলিশ সুপার বিকাশ কুমার জানান, ‘প্রমাণ এবং সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে আমরা অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছি। এনকাউন্টারের সময় তারা আহত হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত এখনও চলছে। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে অপারেশন ত্রিনেত্রের আওতায় জেলা জুড়ে শত শত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মহিলার পরিবার অভিযোগ করেছে যে ঘটনাস্থলের কাছে তিন থেকে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল, যা এই ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছে। তবে, পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছে একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গেছে যে মহিলাটি দৌড়াচ্ছেন এবং দুই বাইক আরোহী তাঁকে ধাওয়া করছে। এই ফুটেজ পুলিশকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সহায়তা করেছে। এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং নারী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।