মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ২০ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধেয় বাগদত্তার সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এই নারকীয় ঘটনার শিকার হন ওই তরুণী। অভিযোগ, চার যুবক তাঁদের ঘিরে ধরে তরুণীর বাগদত্তার উপর চড়াও হয় এবং তাঁকে মারধর করে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে। এরপর গণধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে।
আরও পড়ুন-'গো ব্যাক টু ইন্ডিয়া!’ আয়ারল্যান্ডে বর্ণবিদ্বেষের শিকার ৬ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরবিন্দ শ্রীবাস্তব জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে পাঁচটি পুলিশ টিম গঠন করে তল্লাশি চলছে।তিনি আরও বলেন, ওই তরুণী চুরহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার তিনি নিজের বাগদত্তার সঙ্গে বাইকে করে বেরোন। কাঠৌঠা গ্রামের কাছে বাইক থামিয়ে দু’জনে একটি পাহাড়ি এলাকায় যান। সেখানেই চার যুবক তাঁদের ঘেরাও করে। এরপর ওই যুবকের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং এলাকা থেকে পালাতে বাধ্য করা হয়।অরবিন্দ শ্রীবাস্তব জানান, 'এরপরই তরুণীকে ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত।' তারপর সেখান থেকে কোনও মতে পালিয়ে এসে ওই তরুণী তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সেমারিয়া থানায় পৌঁছন। পুলিশ তাঁদের কথা শুনে একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং চিকিৎসার জন্য সেমারিয়া কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে পাঠানো হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন-'গো ব্যাক টু ইন্ডিয়া!’ আয়ারল্যান্ডে বর্ণবিদ্বেষের শিকার ৬ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী দল কংগ্রেস এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি জিতু পাটোয়ারী বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নারী জাতিকে অপমান করল না, মানবতাকেও লজ্জায় ফেলল। মধ্যপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবস্থা আজকের এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হল।’ তাঁর দাবি, 'গত তিন বছরে মধ্যপ্রদেশে ৭ হাজার ৪১৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে দলিত ও জনজাতি নারীদের উপর ধর্ষণ এবং ৩৩৮টি গণধর্ষণ ও ৫৫৮টি হত্যার ঘটনা রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন সাতজন দলিত বা জনজাতি মহিলা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।এই পরিসংখ্যান বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ।'