মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলস।এই আবহে দ্বিতীয় রাতের মতো কার্ফু জারি হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কিছু অংশে। স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কার্ফু চলবে।পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় ১০১ ফ্রিওয়ের র্যাম্পগুলিতে ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছে। (আরও পড়ুন: রাস্তায় বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশিদের তাড়া খেলেন ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম!)
আরও পড়ুন: রাজকে ঘুঁটি বানিয়ে তৃতীয় কারও সঙ্গে পালানোর ছক ছিল সোনমের? আরও ঘনীভূত রহস্য
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস এক্স পোস্টে লিখেছেন, এই কার্ফু 'প্রেসিডেন্টের বিশৃঙ্খল অবস্থানকে কাজে লাগানো উচ্ছৃঙ্খলদের' দমন করতেই জারি করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, 'আপনি যদি ডাউনটাউন এলএ-তে বসবাস না করেন বা কাজের প্রয়োজন না থাকে, তাহলে ওই এলাকা এড়িয়ে চলুন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলুন। ভাঙচুর ও সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না।' এদিকে, বুধবার রাতে কার্ফু কার্যকর হওয়ার আগেই ডাউনটাউন লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভকারীদের আটক করতে দেখা গেছে পুলিশকে। রাত ৮টা থেকে কার্ফু শুরুর এক ঘণ্টা আগে সিটি হলের সামনে বিক্ষোভকে 'অবৈধ সমাবেশ' ঘোষণা করে পুলিশ। এরপর জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। একইসঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভকারীদের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। (আরও পড়ুন: পরমাণু আলোচনা ব্যর্থ হলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের)
আরও পড়ুন-৫ মিলিয়ন ডলারে মার্কিন নাগরিকত্ব বিক্রি! ওয়েবসাইট চালু করলেন ট্রাম্প
এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের (এলএপিডি) সেন্ট্রাল ডিভিশন জানায়, বিক্ষোভকারীরা সিটি হলের দিকে মিছিল করার সময় 'পুলিশ সদস্যদের দিকে আতশবাজি ও পাথর ছুঁড়েছে।' শহরটিতে শুক্রবার থেকে আইসিই-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই এলএপিডি কর্তৃক গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার ও লস অ্যাঞ্জেলেস সীমানা পেরিয়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি শহরে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর ছয়টি অঙ্গরাজ্যে অভিযান পরিচালনার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে।প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের যে নির্দেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছেন, তা অন্যান্য রাজ্যেও প্রয়োগ করা হতে পারে। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় নয়া মোড়, ২৫% বকেয়া মেটাবে না সরকার? নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের)
আরও পড়ুন: ভারতকে বেস্টফ্রেন্ড বানাতে চাইলেও… বড় দাবি 'সংঘর্ষ বাঁধাতে চাওয়া' ইউনুসের
নিউইয়র্ক সিটি, টেক্সাস, লাস ভেগাস, ফিলাডেলফিয়া, মিলওয়াকি, সিয়াটল, বোস্টন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতেও অভিবাসন বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানেও গ্রেফতার ও সংঘর্ষের খবর মিলছে, তবে অনেক শহরেই স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে চলেছে।এদিকে নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে এই ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করেছেন, যাতে ক্যালিফোর্নিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে পারেন।'
আরও পড়ুন: পাক সেনা প্রধান মুনিরকে আমেরিকার আমন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামের আপত্তি উপেক্ষা করে লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন।এ নিয়ে গভর্নর নিউসাম বলেন, 'গণতন্ত্রের ওপর হামলা এখন আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে-যে মুহূর্তটি আমরা আশঙ্কা করছিলাম, তা অবশেষে এসে গেছে।'