বুধবার জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়বীর শেরগিল। জয়বীর শেরগিল পেশায় সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্রে শেরগিল বলেন যে, দলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা স্বার্থপরতার প্রভাবে নেওয়া হচ্ছে।
সোনিয়া গান্ধীকে লেকা এক চিঠিতে জয়বীর লেখেন, ‘আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই যে এখন জনগণ ও দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। বরং ক্রমাগত বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে ছদ্মবেশী নেতাদের স্বার্থপরতা দ্বারা প্রভাবিত হয় দলের সিদ্ধান্ত।’ উল্লেখ্য, পদত্যাগের আগে জয়বীর কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ জাতীয় মিডিয়া প্যানেলিস্ট ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাকরি পেতে ঘুষে দিতে হত জমি! সাংসদ সহ শাসকদলের দুই শীর্ষ নেতার বাড়িতে CBI
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, গত কয়েক মাস ধরে জয়বীরকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জয়বীর শেরগিলের পদত্যাগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন দলের নেতা গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাও নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই আবহে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরই মাঝে শীঘ্রই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হতে পারে।
আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক টুইট করে জানান, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময়সূচী ঠিক করতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ২৮ অগস্ট। সেদিন বিকেল সাড়ে ৩টের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এই সভার সভাপতিত্ব করবেন।
এদিকে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি পদে কে বসতে চলেছেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী এখনও এই পদে বসতে নারাজ। শুধু তাই নয়, তিনি চান না যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধী এই পদে বসুক। তিনি অ-গান্ধী কাউকেই এই পদে দেখতে চাইছেন। এই আবহে পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতির সম্ভাব্য নাম নিয়ে জোর জল্পনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর থেকে দলের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি পদে রয়েছেন সোনিয়া।