রাজীব কুমার বলছেন, বলছেন, ইভিএমের কার্যকারিতা চিরকালই প্রশ্নের মুখে থাকে। তবে দিনের শেষে তারা নিজের কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে।
ইভিএম কারচুপি অভিযোগ নিয় ভোটের পর মুখ খুললেন রাজীব কুমার।
২০২৪ ভোট পর্বে, ইভিএম নিয়ে বহু প্রশ্ন ওঠে। এবার ভোট মিটতেই সেই ইস্যুতে মুখ খোলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, এবার আগামী ভোটপর্ব পর্যন্ত ইভিএমগুলিকে বিশ্রাম নিতে দিন, তারপর আবার ভোট, তখন আবার কুকথা শুনবে, আর আবার ভালো কাজ করবে।
সাংবাদিকদের তরফে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে রাজীব কুমার বলেন, গত ২০-২২ নির্বাচন ধরে একই ঐতিহ্য চলছে। ইভিএম-এ কারচুপি করা হয়েছে, এমন অভিযোগ ছিল। তিনি বলছেন, ইভিএমের কার্যকারিতা চিরকালই প্রশ্নের মুখে থাকে। তবে দিনের শেষে তারা নিজের কর্মদক্ষতা প্রমাণ করে। কার্যত খোঁচার সুরে রাজীব কুমার বলেন,' ইভিএমের ফলাফল সবার সামনে। সেই গরীব লোককে কেন অভিযুক্ত করব? কয়েকদিন বিশ্রাম দিন। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ইভিএম বন্ধ থাকুক। তারপর এটি বের হবে, তারপর এর ব্যাটারি পরিবর্তন করা হবে, তারপর এর কাগজপত্র পরিবর্তন করা হবে। তারপর এটি আবার অপব্যবহার করা হবে, কিন্তু ভাল ফলাফল (কর্মদক্ষতা) প্রদান করবে। গত ২০-২২ সালের নির্বাচনের পর থেকে একই রকম ফলাফল দেখা যাচ্ছে, সরকার পরিবর্তন হচ্ছে।' মজার ছলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলছেন, সম্ভবত ইভিএম এমন লগ্নে জন্মেছে যার জন্য তাকে নিয়মিত সমালোচিত হতে হয় ও অভিযোগের কাঠগড়ার সামনে পড়তে হয়।
রাজীব কুমার বলছেন,'তবে এটি নির্ভরযোগ্য। এটি সব দিক থেকে নিরপেক্ষ ও নিজের কাজ করে।' এদিকে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের পর, এদিন সংসদে এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীও ইভিএম প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘৪ জুন যখন রেজাল্ট বের হচ্ছিল, তখন আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। পরে ফোন আসতে থাকে। আমি একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, সংখ্যা-টংখ্যা ঠিক আছে, বলুন… ইভিএম মারা গেছে নাকি বেঁচে আছে।’ বিরোধীদের দিকে খোঁচার সুর চড়া করে মোদী বলেন,' ৪ জুনের আগে, ওঁরা (বিরোধীরা) ক্রমাগত ইভিএমকে দোষারোপ করছিলেন এবং তাঁরা ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা খোয়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর ছিল। আমি ভেবেছিলাম তারা ইভিএমের শবযাত্রা বের করবে।'