অরুণ দেবইয়েদুরিয়াপ্পা ও মোদীর উপর ভরসা রাখুন। চলতি মাসে কর্ণাটকে গিয়ে একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পার স্বপ্নকে সফল করতে আগামী বিধানসভায় সকলে এগিয়ে আসুন। সব মিলিয়ে বিজেপি একটা বার্তা দিতে চাইছিল এবার কর্নাটকের ভোটের আগে। এবার মনে করা হচ্ছিল মোদী ও ইয়েদুরিয়াপ্পাকে সামনে রেখে ভোটে লড়তে চাইছে গেরুয়া শিবির।মনে করা হচ্ছিল এবার ইয়েদুরিয়াপ্পাকে নির্বাচন কমিটির প্রধান করা হতে পারে। কিন্তু শুক্রবার বাস্তবে দেখা গেল বাসবরাজ বোম্মাইকে কমিটির চেয়ারম্য়ান করা হচ্ছে। আর ইয়েদুরিয়াপ্পাকে তার আওতায় একজন সদস্য় হিসাবে রাখা হচ্ছে।এদিকে এই ঘটনায় ইয়েদুরিয়াপ্পার অনুগামীদের মধ্য়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে বোম্মাইয়ের নাম স্বাভাবিকভাবেই বাছা হয়েছে। কারণ ইয়েদুরিয়াপ্পার বয়স প্রায় ৮০ বছর হয়ে গিয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে আসলে আরএসএস ইয়েদুরিয়াপ্পার নাম আনার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছিল। তার জেরে এই সিদ্ধান্ত। এক বিধায়ক জানিয়েছেন, এটা সকলেই জানেন যে বিএল সন্তোষ ও ইয়েদুরিয়াপ্পার মধ্য়ে একটি বিরোধ রয়েছে। আরএসএস এক্ষত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে তারা এটা ভালো করেই জানেন যে দলকে জয় পেতে হলে ইয়েদুরিয়াপ্পাকে প্রয়োজন। আসলে এতদিন যে প্রশংসা করা হত সেটা নেহাতই তার ইগোকে দাবিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু যখন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তখন ইয়েদুরিয়াপ্পার নাম নেই। তখন বিএল সন্তোষ আসল কাজটি করে দিলেন। তিনি বলেন আসলে ইয়েদুরিয়াপ্পা হিজাব ও হালাল বিতর্কের আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে আরএসএসএর কাছে এটা ভোটের অন্যতম তাস। অপর এক নেতার কথায় ইয়েদুরিয়াপ্পার পুত্র বিওয়াই বিজয়েন্দ্রর হাতে ক্ষমতা চলে আসছিল। ইয়েদুরিয়াপ্পাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তার ছেলে ছড়ি ঘোরাতেন। একটা সময় প্রশাসনের উপরেও তিনি হস্তক্ষেপ করতেন। এনিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল। সেকারণেই অত্যন্ত কৌশলে তাকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হল না।