২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। সেই ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তার মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেল বাংলার ২ নিহত পুণ্যার্থীর পরিবার। গত সপ্তাহের সোমবার ১৭ মার্চ উত্তর প্রদেশ সরকারের প্রশাসনিক কর্তারা ওই দুটি পরিবারের হাতে একটি খামে করে নগদ টাকা তুলে দিয়েছেন। দুই পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জানিয়েই এই অর্থ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নগদে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: 'এসেছিলেন ৬৬ কোটি, নারীদের হেনস্থার একটা ঘটনাও নেই মহাকুম্ভে,' জানালেন যোগী
জানা যাচ্ছে, ৩ পুলিশ সহ ৪ জনের একটি দল উত্তরপ্রদেশে থেকে এসে তাঁদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা করে তুলে দিয়েছেন। তাঁরা দুটি পরিবারকে জানিয়েছেন, এই অর্থ ক্ষতিপূরণের প্রথম অংশ। বাকি টাকা দেওয়া হবে। তারপর তাদের একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে যে তাঁরা প্রত্যেকে ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। (আরও পড়ুন: ঢাকায় ঘুরল খেলা! সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক নিয়ে উলটো দাবি হাসনাতের বেস্ট ফ্রেন্ডের)
মহাকুম্ভে মৃত পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা বিধান রুইদাস (৪২) এবং বীরভূমের গায়ত্রী দে (৬০)-এর পরিবার এই টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু, ব্যাঙ্কে গেলেই তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হন। ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা তাঁদের কাছে জানতে চান, এতো নগদ অর্থ তাঁরা কোথা থেকে এবং কীভাবে পেলেন? উল্লেখ্য, তথ্য অনুযায়ী, মহাকুম্ভে নিহত ৩০ জনের মধ্যে চারজন বাংলার বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: ফের রক্ত ঝরল বালোচিস্তানে, গুলি করে হত্যা ৪ পুলিশ সহ ৮ জনকে)
বাংলার সরকারি আধিকারিকরাও জানিয়েছেন যে তাঁরা এই ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। নগদে অর্থ প্রদান করা হয়েছে জানতে পেরে তাঁরা অবাক হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুম্ভমেলার জেলা শাসক বিজয় কিরণ আনন্দও এইভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কিছু না জানার কথা স্বীকার করেছেন। বিধান ও গায়ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই টাকার মধ্যে সব ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছিল। বিধানের স্ত্রী শর্মিলা বলেন, ওই আধিকারিকরা স্থানীয় বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার শর্মিলা ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে সমস্যায় পড়েন। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক তাঁকে টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দিলেও নগদের উৎস উল্লেখ করে এই সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে বলেছে।