বাংলাদেশের যশোরের এক মাদ্রাসার ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, তিনজন মুখ ঢেকে জিহাদির সাজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তাদের দু'জনের হাতে আবার বন্দুক আছে। এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তসলিমা নসরিনও সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। এরপরই শুরু হয় চর্চা। বিচর্কের আবহে পরে সেই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। ভাইরাল হওয়া সেই ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি যশোর সদর উপজেলার রামনগর রাজারহাট এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার। (আরও পড়ুন: উপকূল ঘেঁষে বাঁক নিম্নচাপের, আজ থেকে বৃষ্টি বঙ্গে, তারপর হু হু করে পড়বে ঠান্ডা?)
আরও পড়ুন: প্রবাসী ভারতীয়রা দেশে যত টাকা পাঠান, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মিলিত বাজেটের তা...
আরও পড়ুন: আমেরিকায় আঘাত হানতে পারে, এমন মিসাইল তৈরি করছে পাকিস্তান: হোয়াইট হাউস আধিকারিক
জানা গিয়েছে, গত ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় নাকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। দাবি করা হয়, সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে আরবি ভাষায় ভাষণ দিতে দেখা যায় একজনকে। দাবি করা হয়, ওই ভিডিয়োতে কোরআনের দুটি 'আয়াত' বলা হয়েছে। বাংলানিউজ২৪-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই আয়াতের মধ্যে একটি নাকি 'জিহাদ' সংক্রান্ত। সেই বক্তার দু'দিকে দাঁড়িয়ে ছিল দু'জন। তাদের হাতে ছিল কাঠ, প্লাস্টিক ও শোলা দিয়ে বানানো অস্ত্র। দাবি করা হয়েছে, এই মাদ্রসায় প্রায় ৫০০ পড়ুয়া আছে। ২০১২ সালে এই মাদ্রাসাটি গড়ে তোলা হয়েছিল। পরে ঘটনা প্রসঙ্গে যশোর কোতওয়ালির থানার ওসি জানান, ভিডিয়োটি ফেসুকে ভাইরাল হয়েছে বলে তিনি অবগত। তাঁর কথায়, মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতিযোগিতার অংশ সেই ভিডিয়ো। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করছিলেন। এদিকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জানান, এই ভিডিয়োর অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সাক্ষ্য নির্যাতিতার, ধর্ষককে সাজা শোনাল এপারের আদালত)
আরও পড়ুন: 'মালদা-মুর্শিদাবাদ, ২ দিনাজপুরকে বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি করা হবে', বিস্ফোরক অধীর
এদিকে এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশের মাদ্রাসায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি ইউটিউবার আসাদ নূর দাবি করেছিলেন, যশোরে জঙ্গিরা একে৪৭ হাতে গাজওয়াতুল হিন্দের ঘোষণা করছে। পরে অবশ্য জানা যায়, সেই সব দাবি ভুয়ো। তবে মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের মঞ্চস্থ নাটকে এভাবে 'বন্দুক' ব্যবহার ঠিক হয়নি। এতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ভুল ধারণ তৈরি হয়েছে।