বাংলাদেশে মহম্মহ ইউনুসের সরকারের সদস্য মাহফুজ আলম এবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বে। তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য একনজরে।
মাহফুজ আলম
অন্যান্য অনেকের সঙ্গেই গত ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসাবে তিনি শপথ নিয়েছিলেন। তবে সেই সময় মাহফুজ আলমকে কোনও মন্ত্রক দেয়নি ইউনুস সরকার। শপথের পর থেকে তিনি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। এবার মন্ত্রক পেলেন মাহফুজ আলম। সদ্য নাহিদ ইসলাম ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা পদ থেকে। নাহিদের সেই ছেড়ে যাওয়া মন্ত্রকের দায়িত্বেই এলেন মাহফুজ।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক বিজ্ঞপ্তিতে মাহফুজ আলমের নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। এদিকে, নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব আপাতত বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টার কাছে রয়েছে। এছাড়াও মহম্মদ ইউনুসের হাতে থাকছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রক এবং বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রক। এর আগে, নভেম্বরে শপথ পাঠের পরও কোনও মন্ত্রক পাননি মাহফুজ। তারপর ফেব্রুয়ারির শেষে শেষমেশ তিনি পেলেন মন্ত্রক।
নাহিদ ইসলাম:-
এদিকে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ নাহিদ এবার নতুন এক রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চলেছেন। আর তার জেরেই তিনি এই পদত্যাগ করেন। সেই দলেরই আহ্বায়ক হতে চলা জেরে এই পদত্যাগ। গত জুলাই মাসে বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশে সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন নাহিদ। যার জেরে ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং শেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ৯ অগস্ট ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ হন নাহিদ। এবার বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় নতুন ভূমিকায় তিনি আসতে চলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগ থেকে স্নাতক মাহফুজ আলম। বাংলাদেশের লখিমপুরের ভূমিপুত্র মাহফুজ। মূলত তাঁর পড়াশোনা মাদ্রাসায়। আমেরিকায় 'ক্লিন্টন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ'-এ তাঁকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। সেই ঘটনা ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের। সেদিন তাঁর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ ইউনুসও।