গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পর ফের জ্বলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই আবহে বর্তমান পরিস্থিতির জন্যে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পথে হেঁটেছে বিএনপি। এরই সঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের কারও বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ম্যুরাল ভাঙচুর সহ কোনও হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে যেন কেউ জড়িত না থাকে। দৈনিক কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, 'কোনও গণতান্ত্রিক দল এসব কর্মকাণ্ড সমর্থন করতে পারে না। এ ঘটনা সামাল দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।' (আরও পড়ুন: ইউনুস বিরোধীদের সাথে ষড়যন্ত্র প্রাক্তন IGP-র? বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বলল…)
আরও পড়ুন: চলছে 'অপারেশন ক্লিন', কেরলে গ্রেফতার বাংলাদেশি দশরথ এবং তাঁর 'বিবি'
আরও পড়ুন: মুজিবের বাড়ি ভাঙায় বিদেশি অপশক্তির হাত? বাংলাদেশি বিশিষ্টদের প্রশ্নবাণ ইউনুসকে
কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হিংসা ছড়ানোর ঘটনা একধরনের ফাঁদ হয়ে থাকতে পারে। আর তাই দলের নেতাকর্মীদের কোনও ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই হিংসার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করে বিএনপির আরও বক্তব্য, একটি দেশে বিপ্লব, গণ-অভ্যুত্থান হওয়ার পরপরই নানা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এত দিন পরে এসে কেন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটবে? (আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা)
আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫
উল্লেখ্য, গতকাল মহম্মদ ইউনুসের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে সাধারণ মানুষকে ভাঙচুর থেকে বিরত থাকতে বারণ করা হয়। এমনকী নাম নিয়ে শেখ হাসিনা বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিতে হামলা করা থেকে বিরত থাকতে বলেন ইউনুস। তবে তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গতকাল গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এই নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতা ইয়াসিন আলি প্রথম আলোকে অবশ্য বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে তাদের যোগ নেই। তবে গতকাল গাজিপুরে আবার প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হুসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। হামলাকারীদের পালটা মারধর করেছিলেন স্থানীয়রা। আর আজ আহত হামলাকারীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই 'মুখ' হাসনাত ও সারজিস আলম। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, আদতে এই সব ভাঙচুরের নেপথ্যে কারা আছে? ইউনুসের সরকার কি ইচ্ছে করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে না?