
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন যখন রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশে তখন শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে এপারেই আছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ফিরে পেতে মরিয়া। এবার শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর তাই শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এবং মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র–সহ ৯টি প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে এঁদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ–পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন। যা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের যে অভিযোগ উঠেছে তা সরেজমিনে তদন্ত করতে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বলে জানান উপ–পরিচালক।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানও মৃত্যুকালীন চাকরির দাবিদার, সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এই দুর্নীতি দমন কমিশনকে ছোট করে বলা হয়, ‘দুদক’। যার উপ–পরিচালক হলেন আকতারুল ইসলাম। এই দুদক সূত্রে খবর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেপজা–সহ ৯টি প্রকল্পে নানা অনিয়ম–দুর্নীতি হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেজা এবং বেপজার মতো ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে বলে তদন্ত করছে দুদক।
আওয়ামি লিগ সরকারের জমানায় ছত্রছায়ায় থাকা প্রভাবশালী–সহ প্রায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা লোপাট করা হয়েছে। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ওই অর্থ লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিক। রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ ধরা হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। যা প্রকৃত খরচের চেয়ে অনেক বেশি। খরচের বর্ধিত টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports