বাংলাদেশ সেনায় অভ্যুত্থানের জল্পনা জারি আছে। এরই মাঝে সেনা প্রধানকে সরানো নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এরই মাঝে শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ এক সেনা কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল ইউনুস সরকার। বিডিনিউজ২৪-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাক্তন নিরাপত্তা প্রধান মহম্মদ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী তাসরিন মুজিবের ‘অবৈধ’ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে দুটি ফ্ল্যাট, ১০টি প্লট ও দুটি বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। (আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপ মায়ানমারের বিদ্রোহীদের, অপারেশন ব্রহ্মার জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা)
আরও পড়ুন: রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে হিংসার জের, জরিমানা নেপালের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে
আরও পড়ুন: জঙ্গি নিধনের নামে নিরীহ গুজ্জরদের মারল পাকিস্তান, ক্ষমা চেয়ে খালাস সরকার
ক্ষমতা পরিবর্তনের পর বরখাস্ত হওয়া সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুজিবুর। সেই মুজিবুরের সম্পত্তি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। এরই ভিত্তিতে ন্যাশনাল অ্যান্টি-গ্রাফ্ট এজেন্সি মুজিবুর এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্যে আবেদন জানিয়েছে। এরই সঙ্গে তাঁদের ১৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার জন্যেও আবেদন জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: দশম, দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে)
দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর মহম্মদ সিরাজুল হক সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মুজিবুরের স্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং অস্থাবর সম্পদের সঙ্গে লেনদেন সীমিত করার আদেশ চেয়ে আবেদনটি করেন। (আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত মায়ানমারে জারি গৃহযুদ্ধ, ভারত লাগোয়া অঞ্চলে বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা)
আরও পড়ুন: মোথাবাড়ি হিংসায় ধৃতরা সব হিন্দু? বিস্ফোরক অভিযোগ BJP-র তরুণজ্যোতির
আরও পড়ুন: ফের রেল দুর্ঘটনা ওড়িশায়, লাইনচ্যুত ১১ কামরা, করমণ্ডলের আতঙ্ক ফেরাল কামাখ্যা
বরখাস্ত হওয়ার আগে মুজিবুর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (ARTDOC)-এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি এর আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য দায়ী বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (SSF) মহাপরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামি লিগ সরকার গদিচ্যুত হওয়ার এক মাস পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ সেপ্টেম্বর মুজিবুরকে বরখাস্ত করে। হলি আর্টিজান সন্ত্রাসী হামলার পরে 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট'-এর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত এই সেনা কর্মকর্তা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।