উৎপল পরাশর
অসমের ডিজিপি ভাষ্করজ্যোতি মহান্ত জানিয়েছেন, সেরাজ্যে পা রাখা ১৭ বাংলাদেশী ভিসার নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে অসমে তাঁরা ধর্মীয় পাঠ দিচ্ছিলেন বলে জানান ভাষ্করজ্যোতি মহান্ত। অসমের বিশ্বনাথ জেলায় শনিবারই তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অসম পুলিশের ডিজিপি বলছেন, 'বিশেষ করে নিম্ন আসাম এবং বরাক উপত্যকায় বাংলাদেশ থেকে মৌলবীদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রবণতা রয়েছে। যাঁরা পর্যটক ভিসায় আসেন এবং ধর্মীয় প্রচার চালান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভুলভাবে ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যবহার করে এবং মৌলবাদ ছড়িয়ে দেয়। আমরা এই ইস্যুতে খুব কঠোর হতে চলেছি।' তিনি বলছেন, বিশ্বনাথ জেলায় ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা প্রায় ১৭ জন বাংলাদেশির খবর পেয়েছিলেন যথা সময়ে। তিনি এও বলছেন, 'কিন্তু যখন আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি তখন আমরা দেখতে পাই যে তাঁরা ধর্মীয় প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন যা তাঁদের ভিসার শর্ত অনুসারে নয়। তাই ভিসার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।' অসম পুলিসের ডিজি মহান্ত বলেছেন যে এর আগেও বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা এবং রাজ্যে ধর্মীয় প্রচার চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, এই বছরের মার্চ মাসে, বারপেটা জেলার পুলিশ একজন বাংলাদেশি নাগরিককে এবং অন্যান্য চারজনকে গ্রেফতার করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে। উল্লেখ্য, এই আনসারুল্লাহ বাংমলা টিম , বাংলাদেশের মাটিতে গড়ে ওঠা এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। যা কার্যত উদ্বেগে রেখেছে বাংলাদেশ ও ভারতকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিক সাইফুল ইসলাম অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বারপেটা একটি মসজিদে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। সে এবিটির স্লিপার সেলের অংশ হিসাবে কাজ করছিল বলে খবর মেলে। এর আগে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সতর্ক করে জানান ২০১৬-১৭ এর মধ্যে এবিটির ৬ জন সদস্য অসমে প্রবেশ করে। তিনি সতর্ক করে দেন অসমে আসা এই জঙ্গিদের নিয়ে।