দীর্ঘদিনের দাবি মেনে মণিপুরকে ইনার লাইন পারমিটের (আইএলপি) আওতায় আনা হল। ফলে সেখানে কার্যকর হবে না নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। গতকাল লোকসভায় এই ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে উত্তর-পূর্ব। পরে চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র জানায়, সংবিধানের ছয় নম্বর তফসিল ও ইনার লাইন পারমিট দ্বারা সুরক্ষিত উত্তর-পূর্বের অঞ্চলগুলিতে সংশোধনী বিল কার্যকর হবে না। তবে মণিপুর ইনার লাইন পারমিটের (উত্তর-পূর্বে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের জন্য বহিরাগতদের যে নথির প্রয়োজন) আওতায় না থাকায় সেখানে সংশোধনী কার্যকরী হত। তার জেরে নতুন করে অসন্তোষ ছড়ায় মণিপুরে। রবিবার রাত একটা থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত তিনটে পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দেয় মণিপুর পিপল এগেনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (এমপিএসিএবি)। তার জেরে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন।
এরইমধ্যে গতকাল লোকসভায় বিলটি আলোচনার সময় উত্তর-পূর্বের প্রসঙ্গ আসে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মণিপুরকে ইনার লাইন পারমিট প্রক্রিয়ার আওতায় আনছি আমরা। এটা একটি বড় ইস্যু ছিল, যার সমাধান হয়ে গেল। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় মণিপুরবাসীর তরফে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"
আইএলপি-তে অন্তর্ভুক্তির জন্য মোদী ও শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ যে নেতারা মণিপুরকে আইএলপির আওতায় আনতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিজেপিই একমাত্র এই অঞ্চলকে বাঁচাতে পারবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে মণিপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর হবে না। ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য আজ ছুটিও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কর্মবিরতিও প্রত্যাহার করেছে এমপিএসিএবি।