দার্জিলিং যাওয়ার পথে যানজট প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। সেই সঙ্গেই সিকিমেও কিন্তু যানজট কিছু কম হয় না। তবে এবার সেই সিকিমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স আনা হচ্ছে। সেখানকার পরিবহণ দফতর ইতিমধ্য়েই জানিয়ে দিয়েছে যাদের এখনও পর্যন্ত গাড়ির কাগজপত্র সংক্রান্ত বিষয়গুলি আপডেট করা নেই, তাদের অবিলম্বে কাগজ আপডেট করানোর জন্য বলা হয়েছে। কারণ এবার থেকে এআই প্রযুক্তির মাধ্য়মে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করানো হবে। সেই সঙ্গে কেউ যদি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায় তাদেরও চিহ্নিত করবে এআই প্রযুক্তি।
আগামী ২৫শে মে থেকে সিকিমের রাস্তায় বিশেষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালু করা হবে। সিকিমের পরিবহণ দফতরের তরফে সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যারা সিকিমের রাস্তায় গাড়ি চালান তাঁরা যাতে গাড়ির কাগজপত্র আপডেট করিয়ে রাখে সেব্যাপারে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশের মধ্য়ে বর্তমানে কেবলমাত্র দিল্লিতেই এই এআই পদ্ধতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার সিকিমেও চালু হবে এই ব্যবস্থা। একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্য়মে এই যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এর আগে সিকিমে যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। পার্কিং লটও তৈরি করা হয়েছে অতীতে।
মূলত পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে যানজট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই সঙ্গে পর্যটনের মরসুমে প্রচুর গাড়ি যায় সিকিমে। তার জেরে যানজট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
তবে এবার যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে সিকিম। সেই সঙ্গে যারা পথনিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধেও বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এর আগে গ্যাংটকে তৈরি করা হয়েছিল বহুতল পার্কিং লট। গ্যাংটকে তৈরি করা হয়েছে হাইড্রোলিক পার্কিং লট। গ্যাংটকের এমজি মার্গের পাশেই আরিথান এলাকায় তৈরি করা হয়েছে পার্কিং লট। তবে এটা যেমন তেমন নয়, একেবারে অতি আধুনিক। বহুতল পার্কিং লট। সিকিমের মুখ্য়মন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এই পার্কিং লটের উদ্বোধন করেছিলেন। পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্য়া না হয় সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও জানিয়েছিলেন সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রী।
আসলে সিকিমের অর্থনীতির একটা বিরাট অংশ পর্যটনের উপর নির্ভর করে আছে। পর্যটকরা সিকিমের কাছে লক্ষ্মী। তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা বরাবর খেয়াল রাখে সিকিম সরকার। এবার যানজট থেকেও মুক্তি মিলবে অনেকটাই। এবার মনের সুখে ঘুরতে যান।
প্রায় ৩.৭৫ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই পার্কিং লট। এটা বহুতল পার্কিং লট। আইআইটি গুয়াহাটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই পার্কিং লট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। ভূমিকম্পের জেরে এই পার্কিং লটের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেকারণে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ২৬ বছরের লিজে পিপিপি মডেলে এই পার্কিং লটের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। ১৯৬ কোটি টাকা ২৬ বছরের জন্য লিজে এটা দেওয়া হয়েছে।
এবার সেই সিকিমেই লাগু হবে যান নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি।