Actor Ranya Rao Gold Smuggling Case: বিপদ বাড়ল অভিনেত্রী রানিয়ার! ১৪ কেজি সোনা পাচারের মামলায় খারিজ জামিনের আর্জি

সোনা পাচার মামলায় জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওয়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত তরুণ কোন্ডুরু বেঙ্গালুরুর অর্থনৈতিক অপরাধের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। শনিবার তাঁর আবেদনের শুনানি হবে।আরও পড়ুন -Green Card Issue: গ্রিন কার্ড থাকলেও চিরকাল US-তে থাকা যাবে না! ভারতীয়দের চিন্তা বাড়ালেন ভ্যান্সবুধবারই আদালতে অভিনেত্রীর জামিনের বিরোধিতা করেছিল রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ। ডিআরআই যুক্তি দিয়েছিল, অভিনেত্রীকে জামিন দেওয়া হলে তদন্তে পড়তে পারে। পাশাপাশি তিনি প্রমাণ লোপাট এবং সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। এর আগে রানিয়া রাও অভিযোগ করেন, তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের জেরার সময় তিনি ভেঙে পড়েন বলেও খবর। তবে অভিনেত্রীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তদন্তকারীরা। এর আগে আইনজীবীর কাছে রানিয়া রাও দাবি করেন, 'মানসিক অবসাদে ভুগছি। আমি ঘুমোতে পারছি না। বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতারির স্মৃতি যেন আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।'কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছিল ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৪.৮ কেজি সোনা। সোনা দুবাই থেকে ভারতে আনা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। পরে রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের আবেদন করে আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সোনা পাচারের ঘটনায় তদন্তে শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডিও।আদালতের নির্দেশে এখন রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে রয়েছেন অভিনেত্রী।সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী বলেছেন, ‘গত ১ মার্চ আমি একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। সপ্তাহ দুই ধরে অজানা একটি নম্বর থেকে ফোন আসছিল। আমাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়েছিল। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই প্রথম বার আমি দুবাই থেকে সোনা নিয়ে এসেছিলাম।’ কী ভাবে সোনা বিমানে ভারতে আনা হবে তার ছক কষতে ইউটিউবারের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল বলেও তদন্তকারীদের অনুমান। তদন্তকারীরা এও জানিয়েছেন গত ১৫ দিনে একাধিকবার দুবাই যাত্রা করেছেন এই অভিনেত্রী। ফলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যা জানিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ সত্যি নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।