নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ত্রিপুরায় চলছিল সড়ক অবরোধ। তার জেরে আটকে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। সেখানেই মৃত্যু হয় দু’মাসের এক শিশুর।
বিলের প্রতিবাদে গতকাল ১১ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিল নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গ্যানাইজেশন (নেসো)। তাতে সমর্থন জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও। তার জেরে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বনধ সমর্থকরা। রেল লাইনও অবরোধ করা হয়। বেলা বাড়তে ছড়ায় অশান্তি। সমতল এলাকায় সেভাবে প্রভাব না পড়লেও ধলাই, পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই জেলায় বিপর্যস্ত হয় স্বাভাবিক জনজীবন।
রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আক্রমণের মুখে পড়েন অ-জনজাতিভুক্ত মানুষরা। সেপাহিজালা জেলার বিশ্রামগঞ্জে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। আহত হন ১৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে চার রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। পথ অবরোধের জেরে সেখানে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স। তার জেরে মৃত্যু হয় গুরুতর অসুস্থ শিশুটির। পুলিশ জানিয়েছে, ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে গোমতি জেলার উদয়পুর থেকে আম্বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর ও ধলাই জেলার মানুঘাটেও হিংসা ছড়ায়। দু’জায়গাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিশ্রামগঞ্জেও জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উত্তর ত্রিপুরার আনন্দবাজারের একটি জনজাতি অধ্যুষিত একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে বনধ সমর্থকরা। গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানো হয়। আতঙ্কে স্থানীয় থানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন গ্রামবাসীরা। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
কাঞ্চনপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রটে অভেদানন্দ বৈদ্য বলেন, "সংঘর্ষে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ছয় আধিকারিক ও কমপক্ষে ১৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।" বনধ সমর্থক ও দোকানদারদের মধ্যে সংঘর্ষে মানুঘাটে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। অ-জনজাতিভুক্তদের একটি বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। আগরতলায় আস্তাবল মাঠের কাছে কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করে বনধ সমর্থকরা।