বড় ধাক্কা আপের কাছে। এবার দিল্লিতে আপের ১৫ জন কাউন্সিলর পদত্যাগ করলেন। তবে পদত্যাগ করেই তাঁরা নতুন দলে যোগ দিয়েছেন এমন নয়। তাঁরা একেবারে নতুন দলই করে ফেলেছেন।
আপের বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের অন্যতম মুকেশ গোয়েলের নেতৃত্বে এই নতুন দল তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত মুকেশ গোয়েল দিল্লি বিধানসভা ভোটে আদর্শনগর বিধানসভা এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির রাজকুমার ভাটিয়ার কাছে তিনি ১১০০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তিনি আপে যোগ দিয়েছিলেন। এবার আপ থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি। সঙ্গে একঝাঁক কাউন্সিলর। তাঁদের নিয়ে একেবারে নতুন দলও তৈরি করে ফেললেন। কার্যত বড় ধাক্কা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে।
কাউন্সিলর হিমানি জৈন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, আমরা নতুন দল পার্টি তৈরি করেছি। আপ থেকে ইস্তফা দিয়েছি আমরা। প্রায় আড়াই বছর ধরে পুরনিগমে যে কাজ হচ্ছিল তা ঠিকঠাক নয়। আমরা বলতে পারছিলাম না। লড়াই ঝগড়া করেই সময় চলে যাচ্ছিল। এর মাধ্যমে দিল্লির কী উপকার হবে! আমরা দিল্লির উপকাররে জন্য কাজ করে যাব। যে দল দিল্লির মানুষের উপকার করবে আমরা তার পাশে থাকব। আমরা তাদেরই সমর্থন করব। এখন ১৫জন রয়েছে। আমাদের নতুন দলের নাম ইন্দ্রপ্রস্থ বিকাশ পার্টি।
কেন তাঁরা দল ছাড়লেন? কেন নতুন দল তৈরি করলেন?
এই প্রশ্নের জবাবে মুকেশ গোয়েল জানিয়েছেন, আমাদের ১৫জন কাউন্সিলর পদত্যাগ করেছেন। আমরা দিল্লিতে কাজ করতে পারছিলাম না। ঝগড়া করতে করতেই সময় কেটে যাচ্ছিল। দু মিনিটের মধ্য়ে ঝগড়া লেগে যেত। আরও কাউন্সিলর আসবেন আমাদের সঙ্গে।
তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভেতরের ঝগড়ার কারণেও আমার দিল্লির মানুষের উপকার করতে পারছিলাম না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ২৫০ আসনের মধ্য়ে ১৩৫ আসন আমাদের ছিল। কিন্তু সেই আসন ক্রমশ কমতে থাকে। আড়াই বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছি। কিন্তু দিল্লির মানুষের উপকারে কাজ করতে পারছিলাম না। কোনও বাজেট বরাদ্দ হচ্ছিল না। দাবি বিদ্রোহী কাউন্সিলর, দলত্য়াগী কাউন্সিলর মুকেশ গোয়েলের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে আরও দুর্বল হল আপ। একের পর এক কাউন্সিলর বেরিয়ে যাচ্ছেন। আপের কার্যত এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইতে কতটা টিকে থাকতে পারেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেটাই এখন দেখার।