মাঝে মাঝেই তাঁর সোশাল অ্যাকাউন্টে নতুন নতুন তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। এবারেও খোঁজ মিলল ভারতের এক লুকনো রত্নের। সম্প্রতি আনন্দ মাহিন্দ্রা তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ভারতের মিয়ায়াকি জঙ্গল। গুজরাটের কচ্ছের রণ নামে এক লবণাক্ত ভূমিতে গড়ে উঠেছে এই বিশাল জঙ্গল। কিন্তু এই জঙ্গল নাকি স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়নি। অর্থাৎ প্রকৃতির নিয়মে নিজে থেকে গড়ে ওঠেনি। ম্যানমেড ডিজাস্টার যেমন হয়, তেমনই এই বিশাল অরণ্যানী আদতে ‘ম্যানমেড’!
কী লিখলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা?
ভিডিয়োটি শেয়ার করে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারপার্সন লেখেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কচ্ছের এই এলাকা পরিত্যক্ত ভূমি ছিল। কিন্তু আজ সেখানে গেলে দেখা যাবে, সবুজে সবুজে ভরে গিয়েছে চারপাশ। গত কয়েক বছরের মধ্যেই পাল্টে গিয়েছে গোটা এলাকার ভোল।
আরও পড়ুন - সকালের জলখাবারেও আম খাওয়া চাই? বানিয়ে নিন আমের পরোটা! রইল রেসিপি
মিয়ায়াকি ফরেস্ট আদতে কী?
মিয়ায়াকি ফরেস্টের ধারণা প্রথম নিয়ে আসেন জাপানি উদ্ভিদবিদ ডক্টর আকিরা মিয়ায়াকি। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে চারা পোঁতা থেকে গাছের পরিচর্যার মধ্যে দিয়ে এই ঘন বনজঙ্গল তৈরি করেছেন আকিরা। শহুরে এলাকায় এমন একটি সুন্দর অরণ্য প্রায় বিরল বললেই চলে। এখানে রোপণ করা গাছপালা আদতে মিয়ায়াকি মেথড বা নিয়ম মেনে বেড়ে উঠেছে। ডক্টর রাধাকৃষ্ণন নায়ারের চেষ্টায় তৈরি হয়েছে এই অরণ্য। যে কারণে এত কম সময়ে এত ঘন অরণ্য উপহার পেয়েছে কচ্ছ। মাত্র ২-৩ বছরের মধ্যেই ভোল বদলে গিয়েছে গোটা এলাকার।
আরও পড়ুন - প্রচণ্ড রোদে বেরোতে হয়? সঙ্গে রাখুন এই জিনিসগুলি! হিট স্ট্রোকের ভয় থাকবে না আর
বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য
শুধু যে মানুষের হাতে তৈরি কৃত্রিম অরণ্য মিয়ায়াকি, তা কিন্তু নয়। বর্তমানে কচ্ছতে অবস্থিত এই জঙ্গল সারা বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম মিয়ায়াকি ফরেস্টের তকমা পেয়েছে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বে যতগুলি মিয়ায়াকি পদ্ধতিতে তৈরি জঙ্গল রয়েছে, তার মধ্যে কচ্ছ এলাকায় অবস্থিত অরণ্য সবচেয়ে বড়। তাই আনন্দ মাহিন্দ্রা লেখেন, ‘আমি এই জঙ্গল সম্পর্কে জানতাম, কিন্তু এর রূপকার ডক্টর নায়ার যে এমন একটা দুঃসাধ্য সাধন করেছেন, তা জানতাম না!’