সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার উধমপুরে শহিদ হয়েছেন জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। নদিয়ার তেহট্টের পাথরঘাটার বীর সৈনিক ঝন্টু আলি শেখের মৃত্যুতে গোটা এলাকা জুড়ে এখন শোকের ছায়া। শোকে মুহ্যমান গোটা পরিবার। সেই শোকের মধ্যেও বড় বার্তা দিল শহীদ জওয়ানের পরিবার। তাঁদের বার্তা, শুধু জঙ্গিদেরই নয়, যে সমস্ত ভারতীয়রা পাকিস্তানি জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে তাদেরকে খতম করতে হবে।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হলেন নদিয়ার ঝন্টু আলি শেখ
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। অভিযোগ ওঠে, বেছে বেছে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পর্যটকদেরই গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলায় সেখানে প্রায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে তিনজন বাঙালি। এরপরই ভারতীয় সেনাদের তরফে পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনায় সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি নিধনে তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। সেই আবহে উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে সেনা বাহিনীর। তাতেই জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে শহীদ হন ঝন্টু। এখন জঙ্গিদের নিধন চাইছেন ঝন্টুর পরিবারের সদস্যরা। শহীদ সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের মামা নাজির শেখ বলেন, ‘আমরা সৈনিকের দেহ কখন আসবে তার অপেক্ষায় আছি। কী করে জঙ্গিরা কাশ্মীরে প্রবেশ করে এই আক্রমণ চালাল?’ সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপরই তিনি বলেন, ‘যেসব ভারতীয়দের মদতে জঙ্গীরা এই হামলা চালিয়েছে তাদেরকেও রেহাই দেওয়া চলবে না। তাদের বেছে বেছে শেষ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে ঝন্টুর বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ২০০৮ সালে ভারতীয় সেনা হিসেবে যোগদান করেন তিনি। তাঁর বড় দাদা এবং বৌদিও ভারতীয় সেনাতে কর্মরত। জানা যায়, স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে আগ্রাতেই থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর কাশ্মীরে পোস্টিং হয়। বর্তমানে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবারসহ এলাকাবাসী। তাঁরাও সকলেই চাইছেন যে সমস্ত ভারতীয় দালালরা এই পাকিস্তানি জঙ্গিদের মদত দিয়েছে তাদের আগে বেছে বেছে মারতে হবে। পাশাপাশি পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিধন করতে হবে। আজ সকালে নদিয়া জেলা প্রশাসনের তরফেও এক প্রতিনিধি দল নিহত ঝন্টু আলি শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।