বাবা-মায়েরা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে তাদের বাচ্চারা ঠিকমতো খায় না। এমনকি যখন তারা রাগ প্রকাশের পর খায়, তখনও তারা খুব কম খায়। এখন এটি একটি খুব সাধারণ সমস্যা কিন্তু এটি উদ্বেগেরও বিষয়। কারণ শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য সঠিক পুষ্টি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য তাদের পেট ভরে খাওয়াও জরুরি। এটি অবশ্যই অভিভাবকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, তবে কিছু ছোট টিপস চেষ্টা করে এটি সহজ করা যেতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নিই এমন কিছু কার্যকর পদ্ধতি যা শিশুদের ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করবে যাতে তারা পেট ভরে খেতে পারে এবং সুস্থ থাকতে পারে।
খাওয়ার সময় ফোন এবং টিভি থেকে দূরে থাকুন
বাচ্চারা প্রায়শই খাওয়ার সময় রাগ করে এবং এই পরিস্থিতিতে বাবা-মা হয় তাদের ফোন অথবা টিভির রিমোট দেয়। এখন যদি শিশুটি এই কৌশলের সাহায্যে দুই-চারটি কামড় খায়, তবুও এই সময়ে তার মনোযোগ খাবারের দিকে থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে, শিশুরা প্রায়শই অতিরিক্ত খায় অথবা পেট না ভরে খাওয়া থেকে উঠে পড়ে। তাই, ছোটবেলা থেকেই তাদের পরিবারের সাথে বসে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যাতে শিশুটি মন দিয়ে খায় এবং খেতে উপভোগ করে।
খাওয়ার সময় ঠিক করুন
সকাল হোক বা সন্ধ্যা, বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। প্রতিদিন একই সময়ে তাদের খাবার পরিবেশন করুন। তুমি দেখতে পাবে যে, এতে করে তারা সেই সময় আপনাআপনিই ক্ষুধার্ত বোধ করবে এবং নিজেরাই তোমার কাছ থেকে খাবার চাইবে এবং খাবে। আসলে, যখন বাচ্চাদের একটি নির্দিষ্ট রুটিন থাকে, তখন তাদের শরীরের ঘড়িও একইভাবে স্থির হয়ে যায়।
খাবারে বৈচিত্র্য আনুন, শিশুর পছন্দকেও গুরুত্ব দিন
এখন এটা স্পষ্ট যে প্রতিদিন একই ধরণের খাবার খেয়ে বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি খাবারে কিছু বৈচিত্র্য আনতে পারেন। যেমন কখনও কখনও আপনি বাড়িতে কিছু অনন্য খাবার তৈরি করতে পারেন অথবা কিছুটা স্বাস্থ্যকর সংস্করণে কিছু রাস্তার খাবার রান্না করতে পারেন। এর ফলে শিশুটি ঘরে রান্না করা খাবার উপভোগ করবে। এছাড়াও, মেনু নির্ধারণের সময় শিশুর পছন্দগুলি মাথায় রাখুন। এর মাধ্যমে, শিশুটি ঘরে রান্না করা খাবার পূর্ণ আগ্রহের সাথে খাবে এবং তার প্লেটও পরিষ্কার হবে।
আপনার সন্তানকে সচল রাখুন
যদি শিশুটি সারাদিন ঘরে বসে টিভি বা ফোন দেখে থাকে, তাহলে স্পষ্টতই তার ক্ষুধা লাগবে না এবং তার বৃদ্ধিও ভালো হবে না। তাই, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সন্ধ্যায় কয়েক ঘন্টার জন্য তাদের বাইরে খেলতে পাঠাও। যদি আপনি কোনও কারণে বাড়িতে থাকেন, তাহলে আপনি কিছু শারীরিক কার্যকলাপ করতে পারেন যেমন ছোটখাটো ব্যায়াম বা নাচ। এতে শিশুর বিপাক ক্রিয়া উন্নত হবে এবং সে ক্ষুধার্ত বোধ করবে।
ছোট্ট চেঞ্জ বাচ্চাদের ঘরে তৈরি খাবারের ভক্ত করে তুলবে
এখন বাচ্চারা ঘরের খাবারের ব্যাপারে মুখ খুলতে থাকবে। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো বাবা-মায়ের দায়িত্ব, যেখানে ছোট ছোট ব্যবস্থা অনেক সাহায্য করতে পারে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল খাবারের থালাটি একটু সুন্দর করে সাজিয়ে তাদের পছন্দের বাইরের খাবারের সাথে মিলিয়ে নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, রুটির উপর পনির লাগিয়ে রোল তৈরি করা, ডালের উপর মাখন এবং চাট মশলা ছিটিয়ে দেওয়া, পরোটা বা চিলাকে আকর্ষণীয় আকার দেওয়া, বিভিন্ন সস এবং কেচাপ ব্যবহার করা, যদি সালাদ তৈরি করা হয় তবে সবজিগুলিকে সুন্দর আকারে কাটা। এমন কিছু সৃজনশীল জুগাদ শিশুটিকে ঘরে রান্না করা খাবারের ভক্ত করে তুলবে এবং সে পেট ভরে খাবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।